আগরতলা (ত্রিপুরা): ঢাকা-আগরতলা রুটে আগামী কয়েকদিন মৈত্রী বাস চলাচল বন্ধ রাখছে ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন(টিআরটিসি)।
ঢাকা–আগরতলার মধ্যে মৈত্রী নামে বাসটি পরিচালনা করে ত্রিপুরা।
ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের এক আধিকারিক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আগামী সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত মৈত্রী চলাচল বন্ধ থাকবে। আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকছে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রাও।
টিআরটিসি সুত্রে এ খবর জানা গেছে।
রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিগগিরই টিআরটিসি’র দুই সদস্য নরসিংদী যাবেন। তারা সেখানে গিয়ে গোটা বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং সেখানকার স্থানীয় একটি থানায় তারা অভিযোগও দায়ের করবেন। পরবর্তী সময়ে এই দুই সদস্য ঘটনার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।
যে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়েছিল সেটির বীমা করা ছিল। সেই বীমার অর্থ পাওয়ার জন্যই পুলিশি তদন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে এ ঘটনার পর বহু যাত্রী তাদের টিকিট বাতিল করে নিয়েছেন। দু’দিন আগেও যেখানে একটি টিকিটের জন্য আগরতলায় টিআরটিসি স্ট্যান্ডে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হত। সেখানে যাত্রীরা টিকিট বাতিল করছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১২টায় মৈত্রী বাসটি ২২ জন যাত্রী নিয়ে আগরতলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এর মধ্যে ৪ জন কলকাতার যাত্রী ছিলেন। তারা ট্রানজিট ভিসায় বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর নরসিংদী শহরে বাসটির ওপর হামলা করা হয়।
জানা গেছে, নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন হত্যার বিচারের দাবিতে লোকমান সংগ্রাম পরিষদের নেতা-কর্মীদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয।
এরপরই তারা সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর করে। টিআরটিসি’র বাসটিতেও বিকাল সাড়ে ৩টার সময় ভাঙচুর চালানো হয়। বাস চালক অরুণ দাস নিজেই ফোন করে টি আর টি সি’তে এই খবর দেন।
এদিকে শনিবার আগরতলায় ফিরেছেন মৈত্রীর ৩ সদস্যের ক্রু দলটি। ক্রু সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা ওই ঘটনায় খুব ভয় পেয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার যেন তাদের সব ধরনের দায়-দায়িত্ব নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩,২০১২
সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর