ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দুর্গা পুজোর পরেই ভোট, চলতি বছরের ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৷

মুখ্যমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর ৷কিন্তু, ২০১২ না ২০১৩ সালের ভোটারদের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা নিয়ে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে বিতর্ক বাধে রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পঞ্চায়েত দফতরের ৷

কমিশন যুক্তি দেয়, ২০১৩ সালের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ পাবে প্রায় ১৫ জানুয়ারির পর ৷কিন্তু, ওই তালিকা ধরে মে মাসের আগে নির্বাচন করা সম্ভব নয় ৷

রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর পাল্টা যুক্তি দেয়, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন পুরনো তালিকা অনুযায়ীই সম্পন্ন হয় ৷তবে, এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়৷

মহাকরণ সূত্রে বৃহস্পতিবার জানা গেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই দাবি মেনে নিয়েছে।



প্রাথমিকভাবে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর ঠিক করেছে,১৮ জানুয়ারি পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হবে৷ মোট ৩ দফায় ভোট হতে পারে ৷ জঙ্গলমহলে প্রথম দফাতেই ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা পঞ্চায়েত দফতরের ৷ ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর ৷

দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷ সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা, তাই তার অন্তত ২০ দিন আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া মেটাতে চাইছে রাজ্য সরকার ৷

আগামী সপ্তাহেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে বলে মহাকরণ সূত্রে খবর ৷

এদিকে,পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করার অভিসন্ধি করছে রাজ্য সরকারের, এ অভিযোগে এদিন পথে নামল বামেরা। কলকাতার মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভে বসে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতের বাম প্রতিনিধিরা। রাজ্যপালের দ্বারস্থও হয়েছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আইন করে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করছেন। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কমিয়ে তা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আমলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র পঞ্চায়েত ইস্যুতে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে
বলেছেন, “‍‍‍‍‍নতুন আইন করে সরকার পঞ্চায়েতে নারী, সংখ্যালঘু, তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব কমাতে চাইছে। ”

বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বাম প্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই শাসক তৃণমূল তাদের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সিদ্ধান্তে সই করতে বাধ্য করছে। পদ ছেড়ে দিতে চাইলে কয়েক লাখ রুপি জরিমানা চাওয়া হচ্ছে। না হলে, চাপ দেওয়া হচ্ছে গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।