কলকাতা: বিগত ৭ মাসে রুজু পাঁচটি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী ও কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল তারক দাসকে বুধবার দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর থেকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা৷
বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়৷ এদিন আদালতে তার জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবীরা৷ তারক দাসকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় কলকাতা পুলিশ৷ বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। ১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন তারক দাস।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিক নিগ্রহ, মারধর, ভয় দেখানো থেকে ভাঙচুরসহ একাধিক অভিযোগে ৭ মাসের মাথায় বুধবার তারক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস ৷
যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, তারকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলির কোনো ভিত্তি নেই৷
এদিকে, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল তারক দাসের বিরুদ্ধে পাটুলি থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় ৫টি মামলা রুজু রয়েছে৷
অভিযোগ, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক দুষ্কর্ম চালিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের দিন গাঙ্গুলিবাগানে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের মারধর করেন তারক দাস৷ এরপর গাঙ্গুলিবাগানেই এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে৷
সম্প্রতি বাঘাযতীন স্টেশনে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু সমর্থিত রিকশা ইউনিয়নের অফিস দখল ও ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে নাম জড়ায় তারকের৷
তাদেরই এক কনস্টেবলের একের পর এক দুষ্কর্মে নাম জড়ানোয় চরম অস্বস্তিতে পড়ে কলকাতা পুলিশ৷
বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দু’বার সাসপেন্ডও করা হয়৷ কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি তারক দাসকে৷ ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে শেষমেষ পাটুলি থানার পুলিশের পাশাপাশি, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে গ্রেফতার করতে সচেষ্ট হয়৷ শেষমেষ ধরা পড়েন তারক দাস ৷
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবার আরও জোরদার করা হবে ৷
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২
আরডি/আরআর।