ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক খারাপের জন্য দায়ী মমতা’

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১২

কলকাতা: তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির না হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক খারাপের জন্য দায়ী মমতা- এমনই অভিযোগ করেছে সিপিএম। রাজ্যে গণতন্ত্রের দাবিতে সোমবার কলকাতার ধর্মতলার রাণী রাসমনি রোডে সমাবেশ করে এ অভিযোগ করেছে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি।



দুপুর ১টা থেকে সভা হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের আগমনে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতা। শিয়ালদা স্টেশন থেকে মিছিল করে রানি রাসমনি রোডের সমাবেশ স্থলে আসেন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা।

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, নির্বাচিত পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্বের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে এ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, গৌতম দেবসহ অন্য বাম নেতারা।

সভায় রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছেন, তিনি দেখতে পারছেন না। কতো মহিলা নির্যাতিত হচ্ছেন, তিনি দেখাচ্ছেন বামেদের সময়ও এ ধরনের ঘটনা প্রচুর ঘটেছে। এই হচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কোনো রকম ভুল স্বীকার করতে তিনি রাজি নন। ’’

আত্মসমালোচনা করে কর্মীদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করার জন্যও মানুষকে আহ্বান জানান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

তিস্তার পানি চুক্তির না হওয়ার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক খারাপের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে দায়ী করে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘তিস্তার খানিকটা পানি তো বাংলাদেশ চেয়েছিল। তা ভাগাভাগি করে দেওয়া যেতো। বাম আমলে জ্যোতি বসু গঙ্গার পানির ভাগ করার জন্য তো বিরোধিতা না করে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনবিঘা চুক্তিতে সমর্থন করেছিলেন। আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর এতো অনুরোধেও ঢাকায় গেলেন না। ’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই চুক্তি হলে আমাদের লাভ হতো। পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা যেতো। উল্টে ওদের সঙ্গে সর্ম্পক খারাপ হল। ’’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।