কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর পরিচালনা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ভারতের জাহাজমন্ত্রী জিকে ভাসানের হস্তক্ষেপ চাইল বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স।
এই বণিকসভার পক্ষে শুক্রবার জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রীকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির কাছেও।
বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স সভাপতি কল্লোল দত্ত হলদিয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে লিখেছেন, হলদিয়ায় ঘটনায় শুধু যে সেখানে ভবিষৎ কাজকর্মই ব্যাহত হবে তা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি। ধাক্কা খাবে রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগের পরিবেশ।
এবিজি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের উদ্বেগ নিরসনের জন্যে ভারতের জাহাজ মন্ত্রককে উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে বেঙ্গল চেম্বার।
এদিনই তাদের উদ্যোগেই পূর্ব ভারতের বন্দরগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। লুপ ইস্ট পলিসি, ওয়েক আপ পল ফর পোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক শীর্ষক এ আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন যোজনা কমিশনের পরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা মনোজ সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট বা জেএনপিটি-র চেয়ারম্যান এল রাধাকৃষ্ণণ।
এ আলোচনা সভায় পূর্ব ভারতের বন্দরগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। জোর দেওয়া হয় সার্বিক উন্নয়নের জন্যে। বন্দরগুলোকে আধুনিক করার ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
হলদিয়া বন্দরের ২ ও ৮ নম্বর বার্থে অত্যাধুনিক ক্রেন ব্যবহার নিয়ে যে বিতর্ক চলছে এদিন তা নস্যাৎ করে দেন জেএনপিটি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, জেএনপিটি-তেও ব্যাপক যন্ত্র ব্যবহারেও কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দেয়নি।
এ আলোচনা সভাতেই বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয় বন্দরের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়েও।
বলা হয়, বর্তমান শিল্প পরিস্থিতিতে বন্দরের পরিকাঠামো বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
এ প্রসঙ্গে উঠে আসে- পূর্ব ভারতের বন্দর পরিকাঠামো, যার হাত দিয়েই কেন্দ্রের পুবে তাকাও নীতি বাস্তবায়িত করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১২
আরডি/জেডএম