আগরতলা (ত্রিপুরা): শনিবার আগরতলার যে মাঠে যুব জমায়েত করেছিল কংগ্রেস রোববার সেখানেই বিশাল নারী সমাবেশ করল সিপিএম। অনেকেই এটা দেখছেন চ্যালেঞ্জ এবং পাল্টা চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
রোববার আগরতলার আস্তাবল মাঠে এক সুবিশাল নারী জমায়েত করে সিপিএম। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আরেকবার বলেন, ত্রিপুরার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিচ্ছে। চোখ-কান খোলা রেখে তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
সমাবেশ থেকে স্লোগান তোলা হয়- নারীর অধিকার রক্ষায়, রাজ্যের উন্নয়ন এবং শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় ত্রিপুরায় সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার চাই। সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত।
বৃন্দা কারাত বলেন, সারা দেশ আজ তাকিয়ে ত্রিপুরার দিকে। সারা দেশের মহিলারা ভয়ঙ্কর আক্রমণের মুখে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার সরে যাবার পর মহিলাদের উপর আক্রমণ বেড়ে গেছে। কিন্তু তার কোন বিচার হচ্ছে না।
বৃন্দা কারাত কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার গরীবের কথা ভাবছে না। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি ঘটছে- অথচ সরকার নিরুত্তাপ। তারা দেশের বাজার খুলে দিচ্ছে এক চেটিয়া পুঁজির কাছে। তিনি জানান, ত্রিপুরায় আন্দোলনের দীর্ঘ এবং গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমরা নিশ্চিত ত্রিপুরা আগামী নির্বাচনে রায় দেবে বামশক্তির দিকে। মানুষের পক্ষে।
সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, এখানে মহিলাদের উপর কোন ঘটনা ঘটলে পুলিশ তার অভিযোগ দায়ের করে। মহিলারা এ রাজ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত। অনেক রাত পর্যন্ত মহিলারা রাস্তায় ঘোরা-ফেরা করেন। কোথাও কোন সমস্যা হয় না। ত্রিপুরা আজ গোটা ভারতে আদর্শ রাজ্য।
তিনি বলেন, মানুষকে মানুষ হিসাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছে বামফ্রন্ট। এখানে আমরা মানুষের অধিকার যেমন সুরক্ষিত করেছি- তেমনি কাজের ব্যবস্থাও করছি। শ্রমিকের কাজ যাতে থাকে সে ব্যাপারটিও আমরা মাথায় রাখছি।
মানিক সরকার বলেন, ত্রিপুরায় কোন শ্রমিক কাজ হারায় না। ঋণের দায়ে কোন কৃষকে আত্মহত্যা করতে হয় না। এখানেই সারাদেশের সাথে ত্রিপুরার পার্থক্য। এখানে বামফ্রন্ট সরকার বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক মহিলা এদিন যোগ দিয়েছিলেন সমাবেশে।
বাংলাদেশ সময় : ২০১১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১২
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর