ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে আসছে পরিবর্তন

কলকাতা থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৩
পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে আসছে পরিবর্তন

ঢাকা: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মাদ্রাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।   প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য মাদ্রাসাগুলোকে ইংরেজি ও বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা যে বেশি, তা উপলব্ধি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের।



তাই এবার অষ্টম শ্রেণি থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণীর পাঠসূচিতে ব্যাপক রদবদল করার কথা ঘোষণা করেছেন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা।

বুধবার মহাকরণে তিনি বলেন, “মাদ্রাসার সিলেবাসে উন্নতির জন্য একটি বিশেষ কমিটি তৈরি হয়েছে। ”

মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিনিধি, সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করার কথা চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিযোগিতায় আসতে পারছে না মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা, সেজন্য মাদ্রাসার সিলেবাসে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় যাতে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা বেশি এগোতে পারে, তার জন্য ধর্মশাস্ত্র ও উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ও বিজ্ঞানভিত্তিক সিলেবাসই সরকারের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ”

বতর্মানে মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে ধর্মের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। উন্নত শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বিজ্ঞান ও ইংরেজিকেই হাতিয়ার করে মাদ্রাসা শিক্ষা চালাতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজ্যের মাদ্রাসগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করেন গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। তবে তিনি জানান, শিক্ষক ঘাটতি পূরণের এখনই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একাধিকবার সংখ্যালঘুদের প্রকল্পে কয়েক কোটি টাকা ঋণ ও আর্থিক সাহয্যের কথা ঘোষণা করলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা মূলস্রোত থেকে পিছিয়ে রয়েছে, একথা স্বীকার করেছেন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী ১০ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৬ হাজার আবেদনপত্র দফতরে জমা পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।