ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

অপরাধের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যুরোয় পাঠাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতা সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৩
অপরাধের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যুরোয় পাঠাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতা: ২০১১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনের দিক থেকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় উপরে ছিল। গত মে মাসে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ পাওয়ার পর রাজ্যের অপরাধ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-য় পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।



আর এর কারণে ২০১৩ সালে দেশের অপরাধ-তথ্যপঞ্জির যে সংস্করণ বের হওয়ার কথা তা নির্দিষ্ট সময়ে বের করা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সাধারণত মে-জুন মাসে জাতীয় অপরাধ-তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করে এনসিআরবি । ব্যুরোর এক কর্মকর্তা বলেন, “প্রতি মাসের শেষে রাজ্যগুলো জেলাওয়াড়ি তথ্য পাঠায়। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আসে গোটা বছরের সংগৃহীত তথ্য। কিন্তু গত জুনের পরে পশ্চিমবঙ্গ মাসিক রিপোর্ট পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ”

তথ্য না পাঠানোর কারণে যে পরবর্তী প্রকাশনায় সমস্যা হবে, তা জানিয়ে এনসিআরবির মহাপরিচালক মাস দু’য়েক আগে রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়। সাড়া না-মেলায় ফের চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যুরোর ওই কর্মকর্তা।

মহাকরণের পুলিশ-কর্তারা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার সরকারের প্রথম বছরেই পশ্চিমবঙ্গের এই ‘রেকর্ড’ জেনে ক্ষুব্ধ। তিনি মনে করেন, এ ভাবে শুধু পরিসংখ্যান দেওয়ায় রাজ্যের ‘সম্মানহানি’ হয়েছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে  সে কথা জানিয়ে দেন তিনি। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের নির্দেশে রাজ্যের অপরাধ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিল্লিতে পাঠানো বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, নারীদের ওপরে অত্যাচার বেড়েছে কি না, নিছক পরিসংখ্যান তার সূচক হতে পারে না।

অন্য রাজ্যে নিগৃহীত নারীরা অনেকে ভয়ে ও সামাজিক বাধায় থানায় যেতে সাহস পান না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা পারেন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোও অনেক বেশি সক্রিয়। তাই পশ্চিমবঙ্গে বেশি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বলে দাবি করেন রাজ্যের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।