ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দিল্লির ধর্ষকদের ফাঁসি জানুয়ারিতেই!

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩
দিল্লির ধর্ষকদের ফাঁসি জানুয়ারিতেই!

নয়াদিল্লি: গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় গণধর্ষণের শিকার প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী  নির্ভয়া ধর্ষন ও  হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড জানুয়ারিতেই নিশ্চিত করবে হাই কোর্ট। এমনই মনে করছেন আইনজীবীরা।



তাঁদের অনুমান, জানুয়ারিতেই হাই কোর্ট নিম্ন্ আদালতের মৃত্যুদণ্ডে অনুমোদন দেবে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের আবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্টে শুনানি চলছে। সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ এবং পবনের আইনজীবী এম এল শর্মা জানান, "এই মুহূর্তে আমরা সওয়াল করছি।

আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই সওয়াল শেষ করার চেষ্টা করছি। কারণ তার পরেই আদালতে ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তার পর এ ধরনের মামলায় শীর্ষ আদালত কী রায় দিয়েছে তা আমরা হাই কোর্টে পেশ করব।

শীর্ষ আদালতের রায়ের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পরই এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। আশা করা যায়, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি হাই কোর্ট তার চূড়ান্ত রায় জানাবে। বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর নামে  অপর দুই সাজাপ্রাপ্তর হয়ে আইনি লড়াই করছেন এ পি সিং।

সিং সোমবার বলেন, "সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য পেশ করা হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা সওয়াল করছি। আমার আশা, জানুয়ারির শেষ দিক নাগাদ হাই কোর্ট এই মামলায় তার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে।

অন্যদিকে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি দয়ান কৃষান বলেন, "হাই কোর্টে প্রতিদিন এই মামলার শুনানি চলছে। আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করেছি। এখন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করছেন। তাই ঠিক কবে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। "  

চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির বিশেষ আদালত নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় চার অভিযুক্ত মুকেশ, অক্ষয়, পবন ও বিনয়কে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডের সাজা দেয়। মৃত্যুদণ্ডের এই রায় অনুমোদনের জন্য বিশেষ আদালত হাই কোর্টে স্হানান্তরিত করে।

অন্যদিকে দিল্লি পুলিশ ও ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো গত এক বছরে রাজধানীর অপরাধ সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছে তা যথেষ্টই চাঞ্চল্যকর। দিল্লি পুলিশ বলছে, ২০১২-র, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে দিল্লিতে ধর্ষণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েছে ছ`গুণ।  ৩০  নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে মোট ১ হাজার ৪৯৩টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল ৬২৫‌টি। তুলনায় এ বছর ৩,২৩৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।  

যা সংখ্যার হিসাবে প্রায় ছ`গুণ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো জানাচেছ, ২০১২ সালে ধর্ষণ হয় ৭০৬টি, ২০১১ সালে ধর্ষণ হয় ৫৭২টি এবং ২০১০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৫০৭টি।

গত তেরো বছরের মধ্যে এ বছরই রাজধানীতে ধর্ষণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।  নির্ভয়া কাণ্ডের পর মহিলা সুরক্ষা ব্যবস্হায় কিছু কিছু পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্ত, অধিকাংশই কার্যকর হয়নি। বিশেষজ্ঞ ও সমাজকর্মীরা মনে করেন, পরিস্থিতির আদৌ কোনও পরিবর্তন হয়নি। দিল্লি এখনও মহিলাদের জন্য নিরাপদ শহর নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।