ঢাকা: স্টেশনে যাত্রীবোঝাই ট্রেন দাঁড় করিয়ে, চলন্ত মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন চালক। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে এ ঘটনা।
ঘটনার জেরে প্রায় দু'ঘণ্টা ওই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। দীর্ঘ প্রায় দু'ঘণ্টা লেবেল ক্রসিং বন্ধ থাকার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকাল। ক্রসিংয়ের জন্য আপ শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ইণ্টারসিটি এক্সপ্রেসকে দাঁড় করানো হয় রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে। উল্টো দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে যাওয়ার পর ট্রেনটি ছাড়ার কথা। ট্রেন থেকে নেমে লাইনেই ঘোরাঘুরি করতে থাকেন চালক নিরঞ্জন পণ্ডিত ।
এর মধ্যেই শিলিগুড়িমুখী মালগাড়িটি এসে পৌঁছায়। আচমকা চলন্ত ওই মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। বিকট শব্দে চমকে ওঠেন যাত্রীরা। দু'টুকরো হয়ে যায় চালকের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রাজাভাতখাওয়ার স্টেশন ম্যানেজার অলোক সরকার।
প্রায় দু'ঘণ্টা পর নতুন চালক এনে শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ইণ্টারসিটি এক্সপ্রেস চালানো হয়। মৃত নিরঞ্জনের মেয়ে তুলি পণ্ডিত এমএ পাঠরতা। ছেলে সন্তু পণ্ডিত কলেজের ছাত্র। এ অবস্থায় নিরঞ্জনবাবুর মৃত্যুতে সঙ্কটে পরিবার।
কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুর জেরে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক সদস্যর চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু আত্মহত্যার জেরে সেই সম্ভাবনাও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৪