আগরতলা (ত্রিপুরা): পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থীর দেহরক্ষী এবং গাড়ির চালক মিলে ধর্ষণ করল এক নারীকে। এ ঘটনা খোদ রাজধানী আগরতলার।
আক্রান্ত মহিলা শুক্রবার রাতে টি আই প্যারেডে শনাক্ত করেছেন তিনজনকেই।
পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত। নির্বাচনে সুধীন্দ্রবাবুর নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন টি এস আর দশম ব্যটেলিয়নের রাইফেলম্যান ভূপেন্দ্রর সিং মীনা। প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের গাড়ির চালক ছিল লিটন দে এবং সিদ্দিক মিয়াঁ। এই তিন জনে মিলে মঙ্গলবার রাতে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
ঘটনাটির তদন্ত করেন পশ্চিম মহিলা থানার অফিসার ইনচার্জ শোভা তেলী। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে অভিযুক্তরা ধরা পড়ে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার সকালেই ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ।
কিন্তু নির্বাচনের মুহূর্তে অপরাধীরা যাতে সহজে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য ঘটনা সম্পর্কে কোথাও কিছু জানায় নি পুলিশ।
নীরবে তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এবং ঘটনার তিন দিনের মধ্যে অভিজুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ত্রিপুরার বীরচন্দ্র নগর থেকে এক মহিলা আসে আগরতলায়। তিনি বাস থেকে নামেন রাজধানীর নাগেরজলা মোটরস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখান থেকে তিনি আড়ালিয়া এলাকায় যাবেন ।
তখন মোটর স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো ছিল সিদ্দিক মিয়া। সে ওই মহিলাকে বলে তাকে আড়ালিয়া পৌঁছে দেবে। সিদ্দিক মিয়ার গাড়িতে বসা ছিল রাইফেলম্যান ভুপেন্দ্রর সিং মীনা।
মহিলা গাড়িতে উঠে বসলে তাকে নিয়ে গাড়ির চালক সিদ্দিক মিয়া চলে উল্টো পথে। মিলনচক্র এলাকায় গিয়ে সিদ্দিক মিয়া মোবাইলে ফোন করে লিটন দে’কে। লিটন কিছুক্ষণ পরে মিলনচক্র এলাকায় এসে গাড়িতে বসে। তিনজনে মিলে মহিলাকে নিয়ে যায় বাধারঘাট স্পোর্টস স্কুল সংলগ্ন নির্জন এলাকায়। সেখানে গণধর্ষণ করা হয়।
বুধবার সকালে খবর আসে পুলিশের কাছে। তারা গাড়ির খোঁজ করেন প্রথমে। সেই গাড়ির সূত্র ধরে প্রথমে গ্রেপ্তার করে সিদ্দিক মিয়াকে। সিদ্দিক মিয়ার কাছ থেকে তথ্য জেনে গ্রেপ্তার করা হয় বাকি দুজনকে।
শনিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৪