ঢাকা, বুধবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার শরণার্থী ক্যাম্পে ৭০.০৩ শতাংশ ভোট কাস্ট

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১৬, এপ্রিল ৪, ২০১৪
ত্রিপুরার শরণার্থী ক্যাম্পে ৭০.০৩ শতাংশ ভোট কাস্ট

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্পে মিজোরাম লোকসভা আসনের ভোট কাস্ট হয়েছে ৭০.০৩ শতাংশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আশুতোষ জিন্দাল।

১ থেকে ৩ এপ্রিল এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

আশুতোষ জিন্দাল জানিয়েছেন, এর আগে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে রিয়াং শরণার্থী ক্যাম্পের ভোটাররা ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় তারা ভোট দিয়েছিলেন মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। ওই বার ভোট পড়েছিল ৭৩ শতাংশের কিছু বেশি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার কিছুটা কমেছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ত্রিপুরার সাতটি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রিয়াং শরণার্থীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাদের জন্য ৭টি শরণার্থী ক্যাম্পে ৭টি আলাদা সেন্টার খোলা হয়েছিল। যেখানে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৭টি ক্যাম্পে একসাথে তিনদিন চলে ভোটগ্রহণ।

কমিশন আরও জানান, শরণার্থী শিবিরের প্রায় সাড়ে এগার হাজার মানুষের নাম রয়েছে ভোটার লিস্টে। মঙ্গলবার প্রথম দিনের ভোটগ্রহণে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ভোট দেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে ভোট দিলেন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ।

রিয়াং শরণার্থীরা মিজোরাম লোকসভা আসনের জন্য ভোট দিয়েছেন। মিজোরামের বাসিন্দা হিসাবেই তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ত্রিপুরায় আশ্রয় নেওয়া মিজোরামের রিয়াং শরণার্থীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রায় ১৭ বছর আগে জাতিগত সংঘর্ষের জের ধরে মিজোরাম থেকে পালিয়ে এসে রাজ্যে আশ্রয় নেন রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষরা। কাঞ্চনপুরের সাতটি কাম্পে তারা থাকছেন।
 
এখন তাদের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। বারবার এদের ফিরিয়ে নেবার কথা হলেও এখন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ত্রিপুরা সরকারও বারবার কেন্দ্র এবং মিজোরাম সরকারকে চাপ দেয় এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবার জন্য।

কিন্তু এ নিয়ে বহুবার বহু আলোচনা হলেও রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা রয়ে গেছে ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরেই।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।