ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন

সুকুমার সরকার, কোঅর্ডিনেশন এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৪
মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা থেকে: আগামী ১৬ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে। ভোটের এ ফলাফল প্রকাশের আগেই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে।


 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে জানান, গুজরাটে এক তরুণীকে অনুসরণ করা ও ফোনে আড়িপাতা নিয়ে ইউপিএ সরকার নরেন্দ্র মোদীর বিরু‌দ্ধে এ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করবে।

এদিকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল বলেছেন, নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেই বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হবে। যদি গুজরাট সরকার নির্দোষ হন, তাহলে তদন্তে ভয় পাচ্ছেন কেন?

অপরদিকে বিজেপির মুখপাত্র অরুণ জেটলি এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে তারা রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গেছে।

সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রামগোপাল যাদব এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউপিএ সরকারের বহু আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল৷

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন ঘোষণার বহু আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে এখন বিচারপতি নিয়োগ করা হবে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে তাতে নির্বাচন কমিশনের আপত্তি করা উচিত নয়৷

এছাড়াও কেন্দ্রের এক মন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিচারপতি নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে রাখবে বলেও ওই মন্ত্রী জানান৷ 

বিজেপি নেতা জেটলি কোনো বিচারপতির রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে শরিক হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন।

বিচারবিভাগীয় কমিশনে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তারপর ডিসেম্বর মাসে ইউপিএ সরকার কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এখনও পর্যন্ত আর কোনো বিচারপতি এ বিষয়ে রাজি হননি বলে জানা গেছে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কে ‘যে নেতা নারীদের অনুসরণ করেন, তাকে ছুঁড়ে ফেলুন’ এ ধরনের মন্তব্য করার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার তত্পরতা শুরু করেছে। এই অভিযোগ ওঠার পর গুজরাট সরকার পাঁচমাস আগে দুই সদস্যের এক বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।