কলকাতা: প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপির সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে এই নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
আদালত জানিয়েছে, সারদা কেলেঙ্কারির টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে কিনা অথবা কোনো রাজনৈতিক শক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা এ বিষয়টি বের করতে হবে। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের টাকা কোথায় গেছে এ প্রশ্নের উত্তর কেবলমাত্র সিবিআই তদন্তের মাধ্যমেই বের হয়ে আসতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের বিরাট অংশ ঝাড়খণ্ড, বিহার, ত্রিপুরায় 'পঞ্জি স্কিম'-এর নামে প্রতারণার ব্যবসা শুরু করে সারদা গোষ্ঠী। এর মাধ্যমে শুধু পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৮ লাখ মানুষই প্রতারণার শিকার হননি পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও বেশ কিছু রাজ্যের মানুষ এই প্রতারণার শিকার হন।
এর আগে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে বার বার সিবিআই তদন্তের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এই কেলেঙ্কারিতে ইতোমধ্যেই জেল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাবেক সংসদ সদস্য কুণাল ঘোষের।
ইতোমধ্যেই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে গত এক বছর ধরে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। আর তাই অনেক আগেই এই ঘটনা নিয়ে আদালতকে রাজ্য পুলিশের অসহযোগিতার কথা জানিয়েছিলো ইডি। ইতোমধ্যেই ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়লি সেন এবং তার ছেলে শুভজিত সেন। জেরা করা হয়েছে শুভজিত সেনের স্ত্রীকেও। জেরা করা হয়েছে বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকেও।
সারদা গোষ্ঠী রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। ওই টাকা নিয়ে তারা নিউজ, তারা মিউজিক, দৈনিক সকাল বেলাসহ পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির প্রায় ১৭টি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়।
লোকসভার শেষ দফা ভোটগ্রহণের আগে সারদা তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়া বড় ধরনের বেকায়দায় পড়লো পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিও বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৪