কলকাতাঃ এখনও খোঁজ মেলেনি কলকাতার এভারেস্ট জয়ী “শিখর কন্যা” ছন্দা গায়েনের। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
অভিযান চালাচ্ছিলেন শেরপাদের একটি সংস্থা। খবর পাওয়া গেছে তাদের সঙ্গে খরচের ব্যাপারে কোন সমস্যা হওয়ায় তারা যা কাজ শুরুই করেননি।
কাঞ্চনজঙ্ঘার পশ্চিম চূড়া অভিযান করতে গিয়ে তুষার ধসের মধ্যে পড়েন ছন্দা। তার তিন শেরপা সঙ্গীর মধ্যে এক সঙ্গী অসুস্থ অবস্থায় ফিরে আসেন কাঞ্চনজঙ্ঘার বেস ক্যাম্পে। তিনি অন্যান্য সতীর্থদের খবর দেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ছন্দা।
সেই সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করে ছন্দার সঙ্গীরা অপেক্ষা করছিলেন পশ্চিম শৃঙ্গটি জয় করে ফিরে আসবেন তাদের বন্ধু। কিন্তু দুর্ঘটনার খবরে তারা হতচকিত হয়ে পড়েন। সেই বেস ক্যাম্পেই কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করে প্রিয় বান্ধবীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ছন্দার খুব কাছের বন্ধু টুসি।
অভিজ্ঞ পর্বত আরোহীরা জানাচ্ছেন একটি শৃঙ্গ জয় করার পর সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি শৃঙ্গ জয় করতে যাওয়া অনেকটাই ঝুঁকি পূর্ণ। কারণ সেই সময় শরীরের উপর বিপুল ধকল পড়ে। যার ফলে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
কিন্তু ছন্দার ক্ষেত্রে এক সঙ্গে দুটি শৃঙ্গ জয় করা নতুন নয়। তিনি এভারেস্ট জয় করার পরে একই সঙ্গে অপর একটি শৃঙ্গ জয় করেছিলেন।
দুর্ঘটনার প্রথম খবর পাওয় যায় ২১ মে। হাওড়ার এক মধ্যবিত্ত এলাকার বাড়িতে যখন জমতে শুরু করে সাংবাদিকদের ভিড় তখনই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছন্দার মা জয়া গায়েন। এরপরেই একে একে হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রীরা, রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মুখ্যমন্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করেন। চার জনের দল পাঠান হয় উদ্ধার কাজের তদারকিতে। ছন্দার বাড়িতে আসেন নেপালের কনস্যুলেট জেনারেল। তিনিও আশ্বাস দেন সমস্ত রকম সাহায্যের।
যতদূর জানা গেছে ১৩ জনের একটি দল ছিল এই অভিযানে। ছন্দার সঙ্গে ছিলেন ২৪ বছরের টিম্বা শেরপা এবং ২৮ বছরের দেওয়া শেরপা। এই দুইজনও আপাতত নিখোঁজ।
জানা গেছে চুড়ার থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে থাকার সময় একটি তুষার ধসের কবলে পরে এই দলটি। এর পরেই দলের এই তিন সদস্যকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত বছরই তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন কলকাতার অপর এক পর্বত আরোহী বসন্ত সিংহ রায়। অতি তৎপরতার সাথে তাকে উদ্ধার করা গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪