ঢাকা: শুনতে আশ্চর্য হলেও সত্যি- ডাকাতদল টাকা-পয়সা-সোনাদানা চায় না। দাবি শুধু পানীয়জল।
এ ঘটনা উত্তর ভারতের একটি বড় অংশ জুড়ে। গ্রামবাসীদের কাছে গিয়ে সশস্ত্র ডাকাতরা এমনই দাবি জানাচ্ছে। কারণ ওই এলাকায় তীব্র জলাভাব চলছে। একে তো খরার দাপট। তার পাশাপাশি জল সরবরাহ ব্যবস্থাও তথৈবচ।
এ অবস্থায় ডাকাতদের হুমকিতে মাথা নত করা ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। খোদ পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ২৮টি গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন বাধ্য হচ্ছেন ডাকাতদের জল-শুল্ক দিতে।
উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ সীমান্তে বান্দার এসপি সুরেশকুমার সিংহ জানিয়েছেন, এই এলাকায় জলের খুবই অভাব চলছে। গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজ মেটানোর জন্য ঠিকমতো জলটুকুও পায় না। তার মধ্যে ডাকাতদের আবার উৎপাত।
উত্তরপ্রদেশের ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চলটি জল সরবরাহের লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন। ২০০৭ সাল থেকে বৃষ্টিপাতও খুব কমে গিয়েছে এলাকায়। এসপি সুরেশ কুমারের দাবি, ডাকাতরা প্রায়শই তাই আশপাশের গ্রামে ঢুকে পড়ছে। ডাকাতদলটি ‘বলখরিয়া’ নামে পরিচিত।
তারা খাবার বা জল চায়। ভগবত প্রসাদ নামে একজন গ্রামবাসী বলেন, বলখরিয়া’র হুকুম মানা ছাড়া পথ নেই। জলের জন্য গ্রামবাসীরা কখনও কখনও চার কিলোমিটার পথও হাঁটতে বাধ্য হন।
পুলিশের বক্তব্য, বলখরিয়ার ডাকাতদল যে এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে সেখানকার হ্রদ বা ঝর্নাও শুকিয়ে গিয়েছে। তাই তাদের জল জোগাড় করতে হয়। যেটা ডাকাত দলের পক্ষে ঝুঁকির। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তাই ডাকাতরা জলের জন্য জুলুম চালাচ্ছে গ্রামবাসীদের ওপর।
এদিকে বলখরিয়া নেতার মাথার দামে উঠেছে আড়াই লক্ষ টাকা। খুন, ডাকাতি এবং অপহরণের মতো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৪