ঢাকা: সেই কবেকার কথা। সীতাকে সতীত্বের প্রমাণ স্বরূপ অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করে৷যা রামায়নে বর্ণিত আছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পুনম নামে ওই গৃহবধূ৷ অবিলম্বে পুনমেব স্বামী কুনাল ওতকার, শাশুড়ি তারা, দুই আত্মীয় লীলা ও তার ছেলে সন্দীপকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেখা চন্দ্রবংশী ৷
আদালত ওই চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারায় মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে। পুনমের আইনজীবী জানান, ২০০৭ সালে ডিসেম্বরে পুনমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কুনালের৷ বিয়ের পর থেকেই দু'লক্ষ টাকা পণের দাবিতে পুনমের উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার৷
পণের টাকা না পেয়ে পুনমের চরিত্রের উপর দোষারোপ শুরু করে কুনাল ও তার মা৷
এরপর তারা শর্ত দেয়, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকতে গেলে পুনমকে আগে প্রমাণ করতে হবে সে সতী নারী৷
কিন্তু কি সেই প্রমাণ? এর সমাধান খুঁজে দেয় কঞ্জর সম্প্রদায়ের মাতবররা৷
তাঁরাই ঠিক করে দেয় সতীত্বের প্রমাণ দিতে গেলে পুনমকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে৷ হাতে গরম লোহার রড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে৷
স্বাভাবিকভাবেই এই ভয়ংকর পরীক্ষায় রাজি হননি ওই গৃহবধূ৷ প্রতিবাদ জানান পুনমের বাবাও৷ এর ফল স্বরূপ পুনম ও তাঁর পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, পুনমকে ‘ডাইনি' অপবাদও দেয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা৷
অবশেষে এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন পুনম।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪