কলকাতা: কলকাতায় চলছে ‘নো হর্ন’ সপ্তাহ। বিগত বছরগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন সমীক্ষায় কলকাতার শব্দ দূষণের মাত্রা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও সম্প্রতি তা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এক সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে, অধিক শব্দ দূষণের কারণে ক্রমশ শ্রবণক্ষমতা কমে যাচ্ছে কলকাতার নাগরিকদের।
জনসংখ্যার ঘনত্বের নিরিখে কলকাতা বিশ্বের ঘনবসতি পূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। শুধু বসতি নয় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ পেশার তাগিদে কলকাতায় আসছেন।
ফলে প্রতিদিনই নগরীতে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যাও। আর এসব গাড়ির হর্ন থেকেই সব থেকে বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সমীক্ষায় জানা যায়, যেখানে ভারতের অন্যান্য শহরের গাড়ি থেকে শব্দ দূষণের মাত্রা ৫০ শতাংশ, সেখানে কলকাতায় এই হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
ইন্টারন্যশানাল জার্নাল অব এনভারমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দিনের ব্যস্ততম সময়ে বা কাজের সময় মূলত গাড়ি ও গাড়ির হর্নের জেরে সেসব এলাকায় ৭৯দশমিক ৭৮ ডেসিবেল শব্দ উৎপন্ন হয়, অন্য সময়ে এর প্রাবল্য ৭৭ দশিমিক ৮৮ ডেসিবেলে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে শব্দ দূষণ নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও।
প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, কলকাতার যে এলাকায় বাণিজ্যিক এবং আবাসিক স্থাপনা রয়েছে এরমধ্যে গড়িয়া, শ্যামবাজার, টালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাসের মতো ২৬টি এলাকায় গবেষণা চালানো হয়। এসব এলাকায় চলাচলকারী গাড়ির শব্দই মানুষকে বধির করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
এজন্য কলকাতার ‘নো হর্ন’ সপ্তাহ উদযাপনে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থাও।
নাগরিকদের সচেতন করতে কলকাতা পুলিশ, পৌরসভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজপথে প্রচারণায় নেমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬ , ২০১৪