ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মাওবাদীদের হরতালে তৃণমূলকে জনবিচ্ছিন্ন করার ডাক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলকে জনবিচ্ছিন্ন করা ও সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে হরতাল শুরু করেছে মাওবাদীরা।

শনিবার থেকে জঙ্গলমহলে তার এ হরতাল পালন শুরু করেছে।



অস্ত্র সংবরণের জন্য মাওবাদীদের যে সাত দিনের ‘সময়সীমা’ বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা শনিবার তা শেষ হচ্ছে। শনিবারই জঙ্গলমহলে ফের হরতাল ডেকে সংঘাতের বার্তা দিয়েছে মাওবাদীরা।
 
কোনও রকম অশান্তি হতে না দেওয়ার ‘চ্যালেঞ্জ’ তাই রাজ্য প্রশাসনের সামনে। গত বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ ‘অপারেশন’। পুলিশি পরিভাষায় যা ‘এরিয়া ডমিনেশন’। মাওবাদী অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত এলাকায় চলছে ‘ফ্লাশ-আউট’।

সারাদিন ধরে যৌথবাহিনী একটানা তল্লাশি চলছে ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, বেলপাহাড়ী, লালগড়, শালবনি, গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে।

রাজ্য প্রশাসনের ধারণা, মাওবাদীরা মুখে আলোচনার কথা বললেও তাদের খুন-সন্ত্রাসের কর্মসূচি বাতিলের কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। সে ক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশকেও পাল্টা অভিযানে যেতে হচ্ছে।

এত কিছুর পরেও শুক্রবার লোধাশুলি পুলিশ-ক্যাম্প থেকে সামান্য দূরত্বে হরতালের সমর্থনে মাওবাদীরা পোস্টার দিয়েছে। জঙ্গলমহলের অন্য কিছু জায়গাতেও একই পোস্টার চোখে পড়েছে। এই পোস্টারে মাওবাদীরা তৃণমুলকে জনবিচ্ছিন্ন করা ও সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়েছে।
 
শনিবার সকালে শালবনির গোদামৌলিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথে একটি ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক দেখা দেয়। যৌথ বাহিনী সাথে বোমা স্কোয়াড এসে পরীক্ষা করলে ব্যাগ থেকে কাগজপত্র ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
 
শালবনির বিধায়ক ও যুব তৃণমুলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতোর দাবি, ‘জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মসূচির পাশেই রয়েছেন তারা। ’

একই ভাবে হরতালের বিরোধিতা করে ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানিয়ে এ দিন পুরুলিয়ার বলরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাইক প্রচার করেছে ‘জঙ্গলমহল উন্নয়ন বিরোধী প্রতিরোধ কমিটি’।
 
এদিকে, তৃণমূল যখন হরতাল বিরোধিতায় মরিয়া, তখন জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার, পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটির আটক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ওই কমিটির সঙ্গে সরকারের আলোচনাসহ ছয় দফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে এ দিন চিঠি দিয়েছে তাদেও জোট সঙ্গি এসইউসি।

দলের রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, ‘সরকার মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করুক। কিন্তু আগে জনগণের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। জঙ্গলমহলের মানুষের ন্যায্য আন্দোলনকে দমনের জন্য সেখানকারই যুবকদের পুলিশ হিসাবে নামানো অন্যায়’

এই দাবি মানা না হলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।