ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার রাজপ্রাসাদ ফিরে পাচ্ছে পুরনো রূপ

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১
ত্রিপুরার রাজপ্রাসাদ ফিরে পাচ্ছে পুরনো রূপ

আগরতলা (ত্রিপুরা) :  প্রায় চার দশক পর ত্রিপুরার রাজ প্রাসাদ ফিরে পাচ্ছে তার আগের রূপ। আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের আগেই পুরনো আদলে ফিরে যাবে প্রাসাদটি।



ত্রিপুরার রাজ বাড়ির পোশাকি নাম উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ। প্রাসাদটির এ নামকরণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

ত্রিপুরার মহারাজ প্রাসাদটি  নির্মাণ করান ১৯০১ সালে । গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে আগরতলার এ রাজবাড়ি সবচেয়ে সুন্দর এবং বড়।

১৯৭৩ সালে এই প্রাসাদেই ত্রিপুরার বিধানসভা স্থানান্তরিত হয়। এর মাত্র এক বছর আগেই ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায়। সে সময় রাজ পরিবার থেকে তৎকালীন ত্রিপুরা সরকার কিনে নেয় সুদৃশ্য উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ।

সে সময় বিধানসভার প্রয়োজনে প্রাসাদের ভেতরের বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। যুক্ত হয় বেশ কিছু নতুন দরজা, জানালা, কাঠের পার্টিশন দেওয়া অতিরিক্ত কিছু ঘর। এর ফলে উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ তার সাবেকি রূপ হারায়।

এ বছর উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ থেকে বিধানসভা ভবন সরিয়ে নতুন বাড়িতে নিয়ে যওয়া হয়েছে।

রাজধানীর খেঁজুর বাগান এলাকায় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে গড়ে উঠেছে নতুন বিধান সভা ভবন।

এখন চলছে প্রাসাদের সংস্কার কাজ। এ প্রাসাদটিতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে নতুন করে প্রতিরোধক ব্যবস্থাও যুক্ত করতে হছে।

তাছাড়া আগে বিধানসভা ভবন তৈরির জন্য প্রাসাদের ভেতরের বিন্যাসের যে পরিবর্তন করা হয়েছিল  তাও এখন সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কার্যত উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ পাচ্ছে তার আগের রূপ।

সমগ্র প্রকল্পটিতে খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি ভারতীয় টাকা। দিল্লির একটি সংস্থা এর নির্মাণ কাজ করছে। তবে শ্রমিকরা প্রায় সবাই রাজ্যের।

সংস্কারের পর রাজ প্রাসাদটিকে ত্রিপুরার জাদুঘর বানানো হবে বলে জানা গেছে। উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ চত্বর ঘিরে তৈরি হবে উজ্জ্বয়ন্ত চক। অতীতকে এখানে ধরে রাখা হবে পুরনোর আদলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।