ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কাকাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে: কিষেণজির ভাইঝি দীপা

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১১
কাকাকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে: কিষেণজির ভাইঝি দীপা

কলকাতা: কবি ভারভারা রাও এবং কিষেণজির ভাইঝি দীপা শনিবার মেদিনীপুর মর্গে কোটেশ্বর রাওয়ের মৃতদেহ দেখার পরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এদিন দীপা বলেন, তার কাকাকে ঠাণ্ডায় মাথায় খুন করা হয়েছে।

লাশ দেখে তার মনে হয়েছে এটা সংর্ঘষের মৃত্যু নয়। এনিয়ে তিনি তদন্তের দাবি করে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান।

কবি ভারভারা রাও বলেন, কিষেণজির মতো এতো বড় মাপের নেতাকে বীভৎসভাবে অত্যচার করা হয়েছে। তার সব চিহ্ন রয়েছে তার গায়ে। মাথার ঘিলু উড়ে গেছে। থুতনি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পা কেটে নেওয়া হয়েছে। সারা গায়ে কাটা ও পোড়ার দাগ।

তিনি বলেন, তিনটে বুলেটের চিহ্ন আছে তার গায়ে। হত্যার আগে ২৪ ঘণ্টা ধরে চলে তার ওপর শারীরিক অত্যাচার। তারপর খুন করা হয়। কিষেণজি সংবিধানে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু যারা মেরেছে সেই জওয়ানরা বিশ্বাস করেন। সেখানে এধরনের অত্যাচার সংবিধান বিরোধী। মমতা ব্যানার্জির সরকার তার ওপর এই অত্যাচার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখে এক কথা বলেন কাজে আরেক করেন। কিষেণজিকে মেরে এটাই একবার প্রমাণ করলেন। ভুয়ো সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয় বলে আরেক বার দাবি করেন ভারভারা রাও।

এদিন কিষেণজির ভাইজি দীপা লাশের ছবি তোলেন সেগুলি তিনি সাংবাদিকদের দেখান।

সিবিআই নতুন করে এই তদন্তের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি করা হয়। তারই প্রথম পদক্ষেপ এটি।

এরপরই লাশ নিয়ে তারা মর্গে বাইরে আসেন। ভারভার রাও ও এপিডিআরের সদস্যরা ‘কিষেণজি, লাল সেলাম’ স্লোগান তোলেন। মর্গের বাইরে অপেক্ষমাণ জনতার সঙ্গে এনিয়ে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তারা ‘কিষেণজি খুনি’ বলে পাল্টা স্লোগান দেয়।

পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে কিষেণজির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

বিকাল পাঁচটায় কিষেণজির লাশ কলকাতা বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এসে পৌঁছায়। লাল পতাকায় মোড়া কফিনটিকে সাত নম্বর গেট দিয়ে লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্পাইস জেটের বিকালের পাঁচটা ২৫মিনিটে বিমানে লাশ নিয়ে হায়দ্রাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন ভারভারা রাও ও দীপা।

হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দর থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে করিমনগরে গ্রামের বাড়িতে শনিবারই শেষকৃত্য হবে নিহত মাওবাদী নেতার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘন্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।