ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনে এ বিষয়ের ওপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, মো. আবদুল হালিম ও ড. রুমানা ইসলাম।
সভার শুরুতে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জাতীয় পাঠ্যক্রমে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্তকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিনিয়োগের মৌলিক ধারণা দেওয়া গেলে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দক্ষতার সঙ্গে নিতে পারবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিনিয়োগ শিক্ষার উপযোগিতা এবং প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সর্বজনীন বিনিয়োগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল পর্যায়ে নতুন কারিকুলামের কাজ চলমান, যেখানে বিদ্যমান গ্রুপ সিস্টেম আর থাকছে না। ১৬ বছর পর্যন্ত সব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জ্ঞান বা ধারণা থাকা দরকার। যেহেতু বিনিয়োগ একটি অবিচ্ছেদ্য জীবন দক্ষতা, তাই নতুন কারিকুলামে বিনিয়োগ, সঞ্চয় ইত্যাদিসহ অর্থায়ন সম্পর্কিত মৌলিক ধারণা সংযুক্ত করা হবে।
বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বুথ সারা দেশে বিস্তৃত করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন। তিনি বিনিয়োগের ঝুঁকি নিরসণের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষায় উদ্যোক্তা সৃষ্টি, আত্মকর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা সম্পর্কিত মেলায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন।
আলোচনা সভায় সঞ্চয়, বিনিয়োগ, ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে সংযোজন করার জন্য প্রাথমিক আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এসএমএকে/এমজেএফ