ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশের ঋণমান ‘নেতিবাচক’ হবে, এসঅ্যান্ডপির আভাস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
বাংলাদেশের ঋণমান ‘নেতিবাচক’ হবে, এসঅ্যান্ডপির আভাস

ঢাকা: বিদেশি মুদ্রায় স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারকে যে অর্থ পরিশোধ হয়, তার অবস্থা আগামী বছর আরও খারাপ হতে পারে। সেই সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মুখে আছে — মূলত এ দুই কারণে বাংলাদেশ বিষয়ক পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল দৃষ্টিতে, বাংলাদেশের ঋণমান এতদিন ছিল স্থিতিশীল, কিন্তু এখন তারা তা কমিয়ে বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক’ ঋণমান নির্ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বভৌম ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে বিবি মাইনাস’ ও স্বল্প মেয়াদে বি ’ নির্ণয় করে।  

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এসঅ্যান্ডপির রেটিং প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, আগামী তিন অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ থেকে ৬ দশমিক ৪ হারে বাড়তে পারে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।  

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ সরকার আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যায়। দেশের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সে কারণে এই সময় দেশের ডলার মজুত এক-তৃতীয়াংশ কমেছে; বলছে এসঅ্যান্ডপি।

এসঅ্যান্ডপি আরও বলেছে, বাংলাদেশের নিট বিদেশি ঋণ ও তারল্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ঋণমান আরও হ্রাস করা হতে পারে। বিষয়টি হলো, বাংলাদেশের নিট বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবের ভারসাম্যের চেয়ে বেশি হয় বা মোট বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা চলতি হিসাবে প্রাপ্য স্থিতি ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বাংলাদেশের ঋণমান আরও কমানো হতে পারে। বাহ্যিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে দেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।  

এদিকে, গত ৩১ মে আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের ঋণমান কমানোর কথা ঘোষণা করে। তখন প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন ব্যাপক দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি আছে; একই সঙ্গে চলমান সংকটের মধ্যে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও দৃশ্যমান হচ্ছে। এ কারণে মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ৩ থেকে বি১-এ নামিয়েছে।

এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থাটি আগামী এক বছরের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে আয় বাড়িয়ে বৈদেশিক লেনদেনের তারল্যের সূচকগুলোকে স্থিতিশীল করার পরামর্শ দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
জেডএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।