ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন

ঢাকা: ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের মানোন্নয়নে ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে ৬২টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় চারশ’ উদ্যোক্তাকে সহায়তা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার ২০০ উদ্যোক্তার মধ্যে ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ, আইপিই বিভাগ এবং এনপিও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মুহম্মদ মেসবাহুল আলম।

অনুষ্ঠানে ‘এসএমই উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনপিও ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসন মাসুদুর রহমান বলেন, বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। সেসঙ্গে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণপত্র না এলসি খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও কলাকৌশল, বৈশ্বিক উৎপাদনশীলতা পরিস্থিতি ও করণীয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘কাইজেন ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প’ সম্পন্নকারী এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সনদ বিতরণ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

জানা গেছে, পণ্যের মানোন্নয়ন ও সার্বিক উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে একটি সার্বজনীন কৌশল হচ্ছে কাইজেন। কাইজেন শব্দটি দুটি জাপানি শব্দ Kai (অর্থ-‘পরিবর্তন’) এবং Zen (অর্থ-‘ভালো’) এর সংমিশ্রণে উৎপন্ন, যার অর্থ ‘ভালোর জন্য পরিবর্তন’। এটি এমন একটি অনুশীলন যা শূন্য ব্যয়ে যে কোনো কার্যক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে। শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, প্রশাসন, দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ সব ক্ষেত্রেই কাইজেন অনুসরণ করা যেতে পারে।

এটি বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও অপচয় রোধ সম্ভব। ‘কাইজেন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেসব ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়- (ক) সচেতনতা উন্নয়ন, (খ) প্রশিক্ষক উন্নয়ন (টিওটি), (গ) প্রতিষ্ঠান বাছাই ও নিশ্চিতকরণ, (ঘ) উৎপাদনশীলতা নিরীক্ষণ, (ঙ) কাইজেন পাইলট প্রকল্প প্রণয়ন, (চ) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ (ইন-প্ল্যান্ট), (ছ) প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ, (জ) চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন, এবং (ঝ) উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম। এ উদ্দেশ্যে কাইজেন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয় এসএমই ফাউন্ডেশন।

২০১৩-২০১৪ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের সচেতনতা সৃষ্টি, ৩৯০ জনের দক্ষতা উন্নয়ন, ৬২টি এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।  

চলতি অর্থবছরেও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, চামড়াজাত, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্প, পাটজাতসহ বিভিন্ন শিল্পের উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।