ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ-সলিডারিডাড সমঝোতা স্মারক সই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
বিজিএমইএ-সলিডারিডাড সমঝোতা স্মারক সই

ঢাকা: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংগঠনটির সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম এবং সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো, একটি টেকসই ও সবুজায়িত পোশাক শিল্পখাত গড়ে তোলার জন্য পোশাক কর্মীদের সুস্থতা ও দক্ষতার উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি টেকসই প্রতিবেদনের জন্য একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ এবং ইএসজি মান এবং আন্তর্জাতিক করপোরেট ডিউ ডিলিজেন্সগুলোর সব প্রচেষ্টাকে একসঙ্গে সমন্বিতকরণ। উল্লেখিত প্রচেষ্টাগুলো বিজিএমইএর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে বলে মনে করছে দুই পক্ষ।

সমঝোতা স্মারকের অধীনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কারখানার কর্মী এবং মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টের দক্ষতার উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উভয় সংস্থাই পজিশন পেপার তৈরি ও প্রচারের মাধ্যমে এবং পরামর্শ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলো কর্তৃক জ্বালানিবান্ধব ব্যবসা মডেল নেওয়ার বিষয়ে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের আওতায় বিজিএমইএ এবং সলিডারিডাড কারখানাগুলোতে ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স, বিশেষ করে, ডাচ এবং ফ্রেঞ্চ ডেরিভেটিভগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালনের বিষয়ে কারখানাগুলোর জ্ঞান এবং সক্ষমতা বাড়াবে।

সলিডারিডাড পোশাকখাতে ইএসজি ইস্যুতে আরও স্বচ্ছ এবং প্রকৃত সময়ভিত্তিক রিপোর্টিং নিশ্চিত করতে, ইএসজি ইস্যুতে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো থেকে অর্থপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল ডেটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে সহায়তা করবে। সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে বড় পরিধিতে গবেষণা ও প্রচারের জন্য বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত কারখানাগুলোর সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য উভয় প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে।

সমঝোতার অধীনে বিজিএমইএর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে শতভাগ নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন কেমিকেল ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ‘জেডডিএইচসি জিরো ডিসচার্জ অব হ্যাজার্ডাস কেমিকেলস’ নিয়ে কাজ করা হবে।

সামগ্রিকভাবে, অংশীদারিত্বটি বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক আলোচনার সুবিধা তৈরি করে দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্ব বাজারে একটি নিরাপদ এবং টেকসই পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। আমরা শিল্পের অবস্থানকে আরও উন্নত করতে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার কল্যাণকে আইনগত বিধি-বিধানের (ডিউ ডিলিজেন্স) সঙ্গে একীভূত করে বিজিএমইএর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ প্রণয়ন করেছি এবং এই রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, এই অংশীদারিত্ব বিজিএমইএর উল্লেখিত রূপকল্প অর্জনে সহায়তা করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সলিডারিডাড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বলেন, বিজিএমইএ এবং সলিডারিডাডের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য সাসটেইনেবিলিটির চর্চায় আরও উন্নয়ন ঘটাবে। আমরা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা, কেমিকেল ব্যবস্থাপনা, সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিংয়ের জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের উন্নয়ন, পানি ও জ্বালানির টেকসই ব্যবহারের প্রসার এবং সমগ্র শিল্প জুড়ে সার্কুলারটি নেওয়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে চাই, যা ইএসজি মানদণ্ডে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থানকে আরও উন্নত করবে। পাশাপাশি ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স নির্দেশিকা এবং অন্যান্য মানগুলোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে। বিজিএমইএর সঙ্গে থেকে আমরা পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করব।

অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
এমকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।