ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমস্টারডামে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ অয়োজন শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
আমস্টারডামে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ অয়োজন শুরু

ঢাকা: বাংলাদেশ দূতাবাস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং পিডিএস-এর সহযোগিতায় ইউরোপে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে দুই দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হয়েছে। এ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিশেল সুয়ার্স, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, লডস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেসলি জনস্টন, পিডিএস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান পল্লক শেঠ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ গত অর্ধশতাব্দীতে অনেক দূর এসেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তর নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা জয় করে জনগণ তাদের আকাঙ্ক্ষা, উদ্ভাবনী মানসিকতা ও প্রতিকুলতায় টিকে থাকার অদম্য শক্তির দ্বারা বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অর্থনীতির দেশ হিসাবে একটি সন্মানজনক অবস্থানে আসীন করছে।

নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিশেল সুয়ার্স বলেছেন, নেদারল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই এবং আমস্টারডামকে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ আয়োজনের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ এ অনুষ্ঠিত সংলাপ টেকসই ব্যবসার গতিকে ত্বরান্বিত করবে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ইউরোপে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ এর অয়োজন টেকসই এবং দায়িত্বশীল উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণস্বরূপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পের উন্নয়নে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ এবং আইন্ডহোভেন ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিস (ইআইপিও) এর মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ এবং অ্যাপারেল ইমপ্যাক্ট ইনস্টিটিউশনের মধ্যে। তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ এবং অক্সফামের মধ্যে।

পোশাক, বস্ত্র, কৃষি, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য সেক্টর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৩৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।

ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিসহ এক হাজারেরও বেশি ইউরোপীয় দর্শক এই দুই দিনে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশে’ র্শীষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ আয়োজনে ‘বাংলাদেশ - একটি উদীয়মান অর্থনীতি’', ‘টেকসই সোর্সিং বাস্তবতা: চ্যালেঞ্জসমূহ, সাফল্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপ’, ‘বাংলাদশের পোশাক শ্রমিকের সুরক্ষা ও কল্যাণে অগ্রগতি’, ‘বাংলাদেশ কৃষি-খাদ্য: পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ’, ‘ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টিং - দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার’, এবং ‘সাসটেইনেবল সিনার্জি: সার্কুলার ইকোনমি, ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত’ র্শীষক ৬টি প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন রানওয়ে’ র্শীষক বিশেষ ফ্যাশন প্রদর্শিত হয়। এই ফ্যাশন রানওয়ে এর আয়োজক বাংলাদেশের বৃহত্তম ডেনিম পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ। ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন রানওয়ের’ মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের টেকসই ও উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।