ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ শতাংশ মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ শতাংশ মানুষ

খুলনা: দক্ষিণ জনপদের মাটি ও পানি চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষের উপযোগী হওয়ায় জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশ এসব চাষে ঝুঁকে পড়েছে এবং আমিষ জাতীয় খাদ্যের ৬০ ভাগ যোগান দিচ্ছে। রুই, কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা, মলা, পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া উৎপাদনে নিরব বিপ্লব হয়েছে।

‘মৎস্য শিল্পে ই-ট্রেসিবিলিটি বিষয়ক পাইলটিং প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ও প্রশিক্ষণ সেন্টার খুলনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

টেক-অ্যানালাইটিকা লিমিটেডের কারিগরি সহযোগিতায় ফিশ ফার্ম অনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ফোয়াবের ব্যবস্থাপনায় এ কর্মশালার আয়োজিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপি বিপিসি) ও ফোয়াবের যৌথ অর্থায়নে মৎস্য অফিস খুলনা ও আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এ কর্মশালায় সহযোগিতা করে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-ফোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের  স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক  মো. তবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ এম আর টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ, টেক-অ্যানালাইটিকা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের ডিপিডি সরোজ কুমার মিস্ত্রি।

প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার পাল। পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্দেশ্য পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন ই-ট্রেসিবিলিটি বিষয়ক পাইলটিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মৎস্যবিদ মো. মনিরুজ্জামান। স্মার্ট ফিসারিজ ই-ট্রেসিবিলিটি পাইলটিং কৌশল উপন্থাপন করেন টেক-অ্যানালাইটিকা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল-এফপি বিপিসি’র প্রোগ্রাম সহকারী পলাশ ঘোষ।

বক্তব্য রাখেন পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য সংগঠক আসাদুজ্জামান কচি, আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এজিএম শাহীন আহমেদ মন্ডল, টেক-অ্যানালাইটিকা লিমিটেডের আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হামিম, ফোয়াবের সহ-সভাপতি মো. ওয়াজেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক লস্কর মনিরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক শাফায়েত হোসেন শাওন, খুলনা আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক এম এ মান্নান বাবলু, সদস্য সচিব শেখ সাকিল হোসেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন ফোয়াবের বটিয়াঘাটা শাখার আহবায়ক পলাশ রায়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি মৎস্য সেক্টরে ফোয়াবের অ্যাপস’র মাধ্যমে ই-ট্রেসিবিলিটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বেড়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কর্মশালায় ফোয়াবের পক্ষ থেকে বাগদা, গলদা, কুচিয়া ও কাঁকড়া প্রদর্শন, পুশ বন্ধ, গুড অ্যাকোয়া কালচার প্রাক্টিসসহ ৬ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। কর্ম পরিকল্পনায় বেকার যুবক ও যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে ২৫ শতাংশ নারী অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার কথাও বলা হয়েছে।

মৎস্য ক্লাস্টার লিডার, মৎস্য পণ্য সরবরাহকারী, ক্লাস্টার ফার্মার এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ অর্ধশত প্রতিনিধি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।