ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক রপ্তানিতে মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সনদের তাগিদ বায়ারস কাউন্সিলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
পোশাক রপ্তানিতে মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সনদের তাগিদ বায়ারস কাউন্সিলের

ঢাকা: বিদায়ী বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলারের। এরমধ্যে, আট বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় দেশিয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানে পোশাকগুলো রপ্তানি করা হয়, এসব প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রক আন্তর্জাতিক মানের না। তারা হাতে কলমে শিখলেও আন্তর্জাতিক কোনো সনদ নেই।

এতদিন পর এসব মান রক্ষক কর্মকর্তাদের ‘মনি নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা’ করতে চায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়ার অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) বায়ার কাউন্সিলের নেতারা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিবিএ ইলেকশন-২০২৪-২০২৬ এর বায়ারস কাউন্সিল প্যানেলের প্রার্থী পরিচিতি সভায় প্যানেল লিডার কাজী ইফতেখারুল হোসাইন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষতার অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাংক-ডকুমেন্ট তৈরি করতে বায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সমস্যার সম্মুখীন হন। এরফলে যেমন সময় নষ্ট হয়, আবার টাকাও নষ্ট হয়। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের ডেটা সংগ্রহ, ডাটা ব্যাংক তৈরি ও নতুন সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতি সহজ করা হবে, যাতে যেকোনো অ্যাকটিভ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান সদস্য হতে পারে।

কাজী ইফতেখারুল হোসাইন বলেন, রপ্তানি করার পর কোনো পণ্য সমস্যা হলে এককভাবে সক্ষম প্রতিষ্ঠানই কেবল সমস্যার সমাধান করে রপ্তানি করে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নেই, তারা সমাধান করতে পারে না। ওই রপ্তানিপণ্য নষ্ট হয়। বায়ারস কাউন্সিলের প্যানেল নির্বাচিত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।  

রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক থেকে। তৈরি পোশাকের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নতুন বাজারের সন্ধান করতে কাজ করছে সরকার। নিজেদের দক্ষতা ও সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে বায়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও নতুন বাজার অনুসন্ধানে কাজ করবে বলে জানান সংগঠনের এই নেতা।

তিনি জানান, লোহিত সাগরে উত্তেজনার কারণে রপ্তানিপণ্য নিয়ে জাহাজ প্রায় এক সপ্তাহের দূরত্বের সাগর ঘুরে পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা এ কারণে তৈরি পোশাকের কম দাম দিতে চায়, যা রপ্তানি আয়ে প্রভাব ফেলবে।

এ সময় তিনি বায়ারদের সক্ষমতার বাড়ানোর মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মায়ানমারে সংঘাত চলেছে। ক্রেতারা দেশটিতে যেতে চাচ্ছে না। তারা বাংলাদেশে আসতে চায়। এসব ক্রেতাকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আকর্ষণে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন কাজী ইফতেখারুল হোসাইন। তিনি বলেন, মায়ানমার থেকে তৈরি পোশাক আমদানিকারক বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশি পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধা আছে, সেগুলো বাংলাদেশের উদ্যোক্তা-দেশি প্রতিষ্ঠান মিলে দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

বায়ারস কাউন্সিল প্যানেলের ১৫ জনের পরিচয় করিয়ে দেন প্যানেল লিডার কাজী ইফতেখারুল হোসাইন। প্যানেলে সদস্যরা হলেন মো. আমিনুল ইসলাম, কাজী আমানুল হক, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, মো. মোরশেদ আলম,  মনিরুজ্জামান, মো. আব্দুল মান্নান, মো. রাকিবুল হাসান, মো. জাকির হোসাইন, ইমদাদ উল হক মিয়াজী, সো. ফজদুল সাঈদ, কায়েস আহমেদ চৌধুরী সাগর, সিনথিয়া ডলি, মোফাজ্জল হোসেন পাভেল ও সাগুপ্তা নেওয়াজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
জেডএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।