ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি বহুমুখীকরণে পাট-চামড়া-ওষুধে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
রপ্তানি বহুমুখীকরণে পাট-চামড়া-ওষুধে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার

ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে ও রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে চামড়া, পাট ও ওষুধ খাতকে সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে সিরডাপ মিলেনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)  ‘হোয়াট ডিড ডব্লিউটিও-এমসি-১৩ ডেলিভারি ফর দ্য গ্রাজুয়েট এলডিসি: পারসপেক্টিভস ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন আমাদের জন্য সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ভাবনার জায়গা ছিল কত দিন সময় পাব। ২০২৬ সাল থেকে আমরা ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় পাব। এই সময় পর্যন্ত আমরা সক্ষমতা অর্জনে কারিগরি সহায়তা হিসেবে সুবিধা পাব। সে বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন পরিষ্কার গাইডলাইন দিয়েছে। ওই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সামনে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের বর্তমান মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে আমাদের গাইডলাইন দিয়েছেন। আমরা তার নেতৃত্বে কাজ করছি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। আমরা চামড়া, পাট ও ফার্মাসিউটিক্যালস এই তিনটি খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছি। কুটির শিল্প পরিমাণে ছোট হলেও পণ্যমুখীকরণ কার্যক্রমের সঙ্গে যোগ করেছি। এ বছর হস্তশিল্পকে বস্ত্রশিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই খাতকে জোর দিতে যাচ্ছি। এতে অনেক আয় হয়তো আসবে না, কিন্তু কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখবে।

সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমরা তিনটি বছর পেয়েছি। এই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তিন বছরের দাম থাকবে না। ওই তিন বছরে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে বিকশিত ও বহুমুখীকরণ অর্থনীতিতে ঢুকতে হবে। সেজন্য শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য শ্রমিকের স্বার্থ ও মানদণ্ড, মেধাসত্ত্ব এবং আধুনিকায়নে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি অর্জনের পরও দেশগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার পর বাংলাদেশ আরও তিন বছর বাণিজ্য সুবিধা পাবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিনা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিল্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।