ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে জনগণের সুবিধায় কাটছাঁট নয়   

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে জনগণের সুবিধায় কাটছাঁট নয়   

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো দাতাসংস্থার ব্যবস্থাপত্র বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন সব উদ্যোগে কাটছাঁট না করার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।  

তিনি বলেন, উন্নয়ন চায়-রাস্তা ঘাট, স্কুল, পানির কল, সেতু চায়।

বিদ্যুৎ পেয়েছে, বিদ্যুৎ আসে আর যায়। মানুষ এখন টেকসই বিদ্যুৎ চায়। মানুষের কাছে গেলে মানুষ এভাবে তাদের চাহিদার কথা জানায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিআইডিএস আয়োজিত রাজধানীর শেরই বাংলানগরে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, সরকার এতদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের যে সব প্রণোদনা দিয়ে আসছে তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। যে সব প্রণোদনা না রাখলেই নয়-এগুলো রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে ঠিক করতে হবে।

তিনি বলন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রাপ্যতা বড় নির্ণায়ক। বেসরকারি খাতের সরকার খেলাপিঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে জোর দিয়েছে। কোনো ব্যাংক মুনাফা থেকে যদি প্রভিশন সংরক্ষণ করে, ঋণ বিতরণ না করতে পারে তাহলে আপনা-আপনিই খেলাপি ঋণ কমানোতে মনোযোগ দেবে। নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে তিনি পরামর্শ দেন।

অ্যাসেট রিশিডিউলটা যে দরকার এটার আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেও বলা যায় উল্লেখ করে অর্থনৈতিক এই উপদেষ্টা বলেন, ঋণের বিপরীতে যে মর্ডগেজ আছে তা অতি মূল্যায়িত। সেই মর্ডগেজটা কীভাবে সঠিক এন্ডোর্সমেন্ট করা যায় সে পথ বের করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠান যদি কার্যকর থাকে, যদি অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখতে পারে তাহলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। আর যদি অবদান না রাখতে পারে তাহলে তাকে ব্যাংক দেউলিয়া করার কোন অপশন বের করতে হবে।  

এমএ মান্নান বলেন, মানুষের জীবন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন উন্নয়ন ও  আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের নির্দেশিত পথের মধ্যে যদি কোনো পার্থক্য থাকে তা ঠিক করতে হবে।

মহাশক্তিধর দেশগুলো আগে দেশে দেশে গিয়ে লুট করতো। এখন লুট করতে দেশে যাওয়া লাগে না। নিজে দেশ থেকে তা করে। এর বিপরীতে আমাদের সরকারকে কোথায় বন্যা হয়, কোথায় জলোচ্ছ্বাস হয় সেগুলো মোকাবিলা করতে হয়। আমার কাজ আমার করে দেখাতে হবে; বলেন এই সাবেক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী থাকাকালীন এমন সব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যার কোনো উপযোগিতা নেই। উপর থেকে নির্দেশিত হয়ে সেগুলো করতে হয়।

বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক ড. বিনয়ক সেন বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা রেশনের দাবি জানিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকি কমিয়ে শ্রমিকদের রেশন দেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন সময়ে বেতন বৃদ্ধির পরও প্রকৃত বেতন কমে গেছে। রেশন দিয়ে তা পুশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, ড. বজলুল হক খন্দকার, বিআইডিএস-এর সাবেক মুস্তাফাজামান মুজেরি প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৯,২০২৪
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।