ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকলেও এটি বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলানিউজের কাছে এ অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা আসবে ঋণ থেকে। প্রস্তাবিত বাজেটে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। মোট জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা, বৈদেশিক মুদ্রার হার ও রিজার্ভ স্থিতিশীল করা, আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জ্বালানি ও সারের ভর্তুকি বকেয়া পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিক্রিয়ায় আহসান এইচ মনসুর বলেন, এগুলো ইতিবাচক ফল দেওয়ার মতো উদ্যোগ এবং এগুলো কাজ করবে। পাশাপাশি বাজেটের যে আকার, সার্বিকভাবে আমি মনে করি, সামষ্টিক অর্থনীতির সমস্যা থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে।
বাজেটে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে রাজস্ব ঘাটতি হবে। সেটা ফেস করতে হবে। এখানে সরকার ঘাটতি বাজেট পূরণে যে এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছে, এটা যদি দুর্বল ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়, তাহলে ব্যাংকে কোনো টাকা থাকবে না। তাহলে ব্যক্তিখাতের ঋণ প্রবাহকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে না।
মূল্যস্ফীতিকেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমবে যদি সরকার তার নীতিতে অটল থাকে। এ বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে ফল পাওয়া যাবে। যদিও বাজেটে কিছু পদক্ষেপের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়বে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যেমন ফ্রিজসহ বেশ কিছু বিলাসী পণ্যের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/