ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারে সুশাসন ফিরিয়ে আনা প্রধান কাজ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৪
পুঁজিবাজারে সুশাসন ফিরিয়ে আনা প্রধান কাজ: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ঢাকা: পুঁজিবাজারকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই উল্লেখ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, আমরা পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বাজারে সুশাসন ফিরিয়ে আনা।

তিনি বলেন, আমরা কমপ্লায়েন্স থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। গত ১৪ বছরের অনিয়ম ১৪ মাসে দূর করা সম্ভব না। তবে যত দ্রুত সম্ভব সেটা করা হবে। একই সঙ্গে আগের দুর্নীতিগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১৮ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমরা তিনদিনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেগুলো ভালোভাবে এগিয়ে নেব। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে, মার্কেটের সুশাসন ফেরানো। গত ১৪ বছরের অনিয়ম খুব সহজে সরাতে পারব না। তবে আমরা লেগে থাকলে আগের জায়গায় যেতে পারব। প্রত্যেকে যদি প্রপারলি কাজটা করি তাহলে হয়তো আমরা একটা আস্থার জায়গা আসতে পারব। আমাদের সবার উচিত আস্থায় জায়গা তৈরি করা।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, আমরা দুটি স্ট্রিমে কাজ করব। একটা কোর এবং অন্যটি নন কোর এরিয়া নিয়ে কাজ করব। প্রথমটা হচ্ছে লেনদেনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, এটা আমাদের মূল ফোকাস। বাজারে ম্যানিপুলেশন যেন না হয়। লেনদেন তদারকি কারা করছেন, কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তারা এটা মনিটরিংয়ে দক্ষ কিনা সেগুলো দেখা হবে বলে।

চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দ্বিতীয় কাজটা হচ্ছে গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠা করা।  বোর্ডের রিপ্রেজেন্টেটিভের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ইন্টারনাল অডিট জোরদার করব। ইন্টারমিডিয়েটস প্রতিষ্ঠানের গর্ভনেন্সে জোর দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ড গঠনে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ৩৮০টি লিস্টেড কোম্পানির গর্ভনেন্সে ব্যাপারে আমরা শক্তভাবে কাজ করব। স্বাধীন পরিচালক নিয়ে আমরা কাজ করব; যারা আছেন তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখব, কিছু কিছু কোম্পানিতে অনেক ভালো লোক আছেন এবং কিছু কিছু কোম্পানিতে গ্যাপও আছে, স্বাধীন পরিচালক বিনিয়োগকারীদের ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করবেন। এজন্য এখানে মনিটরিংটা ভালোভাবে করতে হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের তৃতীয় কাজটা হচ্ছে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট, আমাদের নতুন নতুন প্রডাক্ট নিয়ে আসতে হবে। গত কয়েকবছর ধরে বেশ কিছু ট্রানজেকশন হয়েছে, এটা নিয়ে খুব শিগগিরই রিভিউ করতে হবে। যারা দুর্নীতিবাজ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দুর্নীতিবাজ আবার তৈরি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, সুশাসন ঘর থেকে শুরু হবে, কিছু কিছু কাজ শুরু হয়েছে, ক্লোজ একটা মনিটরিং থাকবে। পুঁজিবাজারকে গত ২৫-৩০ বছরে অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। একটা রিফর্ম শুরু হয়েছে। আমরা সুশাসন ঠিক করতে পারি, প্রডাক্ট ঠিক করতে পারি কিন্তু আমাদের চিন্তা ধারায় সূচক কী হলো, কোথায় গেলো, এটা ভাবা নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৪
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।