বগুড়া: আমদানি ও ফলন বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ার বাজারে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম। ১৫ দিন আগে সবজি বেশি দামে বিক্রি হলেও এখন তা কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো একইসঙ্গে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সব সবজি। এছাড়া নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে দেরিতে। আর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন বেশি হয়েছে।
জানা যায়, সবজি উৎপাদনের মধ্যে বগুড়া অন্যতম। বগুড়াকে উত্তরাঞ্চলের সবজির ভাণ্ডার বলা হয়। প্রতিবছর জেলায় প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। বগুড়ার চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে এবার জেলায় নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে দেরিতে। আর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে বেশি। এছাড়া শীতকালীন সব ধরনের সবজি একসঙ্গে বাজারে ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে। বগুড়ার বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজি আগের চেয়ে কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা, ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা নতুন পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি দাম কমে ১৫ থেকে ২০ প্রতি কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। পাতাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।
এদিকে বগুড়ার সবচেয়ে বড় সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে পাইকারি প্রতিটি সবজির দাম প্রতি মণে কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকার কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, নভেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে দেরিতে। যার ফলে এখন বাজারে সব ধরনের সবজির আমদানি বেড়েছে। এছাড়া বাজারে চাহিদাও কমে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
বগুড়ার রাজাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হালিম জানান, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজি একসঙ্গে ওঠতে শুরু করায় সরবরাহ বাড়ছে। আর এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। দাম কমার কারণে ক্রেতারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
আরবি