ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্লেসমেন্ট প্রতারণা ধরতে এসইসির তদন্ত কমিটি

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০
প্লেসমেন্ট প্রতারণা ধরতে এসইসির তদন্ত কমিটি

ঢাকা: প্রাইভেট প্লেসমেন্টের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

কমিশনের নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামানকে প্রধান করে সোমবার বিকেলে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিচালক হাসান মাহমুদ এবং উপ-পরিচালক জহিরুল হক।

প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কমিটিকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
 
তদন্ত কমিটির প্রধান এটিএম তারিকুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
 
প্রাইভেট প্লেসমেন্টের নামে দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অনৈতিক বাণিজ্য চলছে। কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তহবিল সংগ্রহের জন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিতরণ করা হয়ে থাকে।

অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ নিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই আগাম বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই সুযোগে প্লেসমেন্টের নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
 
এ ধরনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে নবীউল্লাহ নবী ওরফে শফিউল আলম নবী এবং সাত্তারুজ্জামান শামীম নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রিন বাংলা গ্রুপের নামে বেশ কিছুদিন ধরে এই চক্রটি প্লেসমেন্টের শেয়ার বরাদ্দের নামে বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করছিল। এই চক্রের তৎপরতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে।

গ্রেপ্তার দু’জনের পাশাপাশি অন্য কোনো চক্র এধরনের প্রতারণা করছে কিনাÑ তা খতিয়ে দেখতেই এসইসি’র পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়ে অনৈতিক প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় এসইসি।

সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এক কোটি টাকা এবং তালিকা-বহির্ভুত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকার বেশি শেয়ার বরাদ্দ নেয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।