ঢাকা: দেশের গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা। এর বড় কারণ দেশের প্রচলিত বন্ধকি প্রথা।
দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে অবস্থানকালে চালানো গবেষণায় ফুজিতা উল্লেখ করেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলাদেশের গ্রাম্য অর্থনীতির চিত্র বদলাতে থাকে।
বাজারে অব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শহরমূখী অভিযাত্রাসহ নানা কারণে নব্বই দশকের শুরু থেকে কৃষকরা জোতদার বা প্রভাবশালীদের শরণাপন্ন হতে থাকেন। যদিও এ সংস্কৃতি এদেশের ইতিহাসে নতুন নয় বলেও ফুজিতা উল্লেখ করেন। এসময় কৃষকরা জোতদারদের কাছে বেশি করে তাদের জমি বন্ধক রাখতে শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘এক সময় এক একর পর্যন্ত জমির মালিকরা দেনার দায়ে ভূমিহীন হয়ে যান। আর পাঁচ একর পর্যন্ত জমির মালিকদের জমির পরিমাণ কমতে থাকে। ’
উদাহরণ হিসেবে প্রফেসর কোইচি ফুজিতা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার দক্ষিণ চামুরিয়া ও শেরপুরের ভোগরা গ্রামে চালানো তার সমীক্ষা তুলে ধরেন।
এতে দেখা যায়, চামুরিয়ার ২৪ ভাগ কৃষক গত ২০ বছরে তাদের জমি হারিয়ে কৃষিশ্রমিক ও ৩১ ভাগ কৃষক বিড়ি শ্রমিকে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া রিক্সা চালাচ্ছেন আরো ১৫ ভাগ জমি হারানো কৃষক।
গবেষণা কাজে সহায়তা করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (বিআইডিএস)।
প্রফেসর কোইচি ফুজিতা মঙ্গলবার বিআইডিএসে তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১.৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১০