ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন লোনের সীমা নির্ধারণে পুঁজিবাজারে দরপতন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০
মার্জিন লোনের সীমা নির্ধারণে পুঁজিবাজারে দরপতন

ঢাকা: মার্জিন লোনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের ঘোষণায় পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

সেই সঙ্গে কমেছে সব সূচক, বাজার মূলধন ও আর্থিক লেনদেন।

এই দিন ব্যাংক, বীমা. আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়। ব্যাংকিং খাতের লেনদেন হওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টির, বীমা খাতের ৪৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩৬টির, আর্থিক খাতের ২১টির মধ্যে ১৭টির এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে ১০টিরই দাম কমে।

দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে মাত্র ৭৮টির, কমে ১৬৭ টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। এদিন সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪০৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

বাজারে বড় ধরনের দরপতনে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আতঙ্কিত হলেও একে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধের পর কিছুটা মুল্য সংশোধন হওয়া দরকার ছিল। বৃহস্পতিবার সেটিই হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. ওসমান ইমাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বাজারে শেয়ারের চাহিদা তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজার ঊর্ধমুখী হয়ে পড়ছে। আর এই উর্ধবমুখীরোধে এসইসি বাজারের লাগাম টেনে ধরার চেষ্ঠা করছে এটি স্বাভাবিক বিষয়। এ কারনে বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হলে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ’

তিনি জানান, গত ৩ মাসে বাজারে নতুন করে ৫ লাখ বিনিয়োগকারী যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু সে তুলনায় বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়েনি।

এই মুর্হুতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো জরুরি জানিয়ে ড. ওসমান বলেন, ‘অন্যথায় বাজারের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধ করা কঠিন হবে। ’

সপ্তাহের শেষ দিনে লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কো¤পানী ছিলো - তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো লিঃ, এবি ব্যাংক লিঃ, সামিট পাওয়ার, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, বিএসআরএম স্টিল, বেক্সটেক্স, ডেসকো লিঃ, আফতাব অটোমোবাইলস্ ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ।

অন্যদিকে দর বাড়ায় প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো-  ঢাকা ডাইয়িং, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, আইসিবি ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড , আইসিবি ২য় এনআরবি, সিঙ্গার (বিডি) লিঃ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, গ্ল্যাক্সোস্মিথকাইন, বার্জার পেইন্টস্ বাংলাদেশ লিঃ, ১ম প্রাইম ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবি ৩য় এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড।

দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো-  আলফা টোব্যাকো, মডার্ন ডাইয়িং, অ্যাম্বি ফার্মা, এপেক্স উইভিং, ইসলামিক ফিন্যান্স, ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স, এসিআই ফর্মুলেশন, মেঘনা লাইফ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও ফিনিক্স ফাইন্যান্স লিঃ।

উল্লেখ্য, বুধবার এসইসি মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়।   ওই নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে কোনো ব্যাক্তিকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি এবং ব্রোকারেজ হাউজ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। এই নিদের্শনার পর বৃহস্পতিবার বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়।
 
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়ঃ ১৭৪৩ ঘন্টা, ২২ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।