পার্বতীপুর (দিনাজপুর): ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের ফলে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের ৮ জেলার পেট্রল ও ডিজেল পাম্পগুলো তেলশুন্য হয়ে পড়েছে।
জ্বালানি তেলের অভাবে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্তুত এবং চলতি রবিশষ্য ক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় কৃষকরা লোকসানের আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার থেকে পুলিশ প্রহরায় বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির ‘পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপো’ হতে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন পাম্পে পেট্রল ও ডিজেল তেলবাহী লরি পাঠানো শুরু হয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ মো. রওশন কবির এবং দিনাজপুর জেলা পেট্রল পাম্প ও জ্বালানি তেল পরিবেশক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় এখন আমন খেতের ফসল মাড়াই চলছে। মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই ও ইরি-বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্তুত করতে এবং চলতি রবিশষ্য ক্ষেতে সেচের জন্য প্রচুর ডিজেলের চাহিদা রয়েছে।
চলমান অবরোধের কারণে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী ডিলাররা পার্বতীপুর রেলহেড ডিপো থেকে জ্বালানি তেল ওঠানো বন্ধ রাখে। ফলে এসব জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলে তেলবাহী লরি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে ডিলাররা তেল উত্তোলনে রাজি হয়। শুক্রবার দুপুর থেকে ডিলাররা ডিপো থেকে ডিজেল উত্তোলন শুরু করেন।
তারা আরো জানান, প্রথমদিনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে ৮০-৮৫ লরি পুলিশ স্কটসহ পেট্রল ও ডিজেল তেল নিতে আসে এবং পুলিশ স্কটসহ সন্ধ্যার মধ্যে এসব লরি তেল নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৪