ঢাকা: নারকেল চিড়ার সঙ্গে একটুখানি গুড়, সঙ্গে যদি হয় একডালা বিন্নি ধানের খৈ তবে তো কথাই নেই। বাড়িতে অতিথি এলে আগের দিনে গ্রাম বাংলার মানুষ আপ্যায়ন করতেন এভাবেই।
তবু এসব খাবারের স্বাদ এখনও ভোলে নি বাঙালি। বাঙালির সেই ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ মনে করিয়ে দিতেই যেন বাণিজ্য মেলায় ফ্রেইম এন্টারপ্রাইজে দেখা গেলো (স্টল নং-১৫২) এসব ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমাহার।
হালকা খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি ও খইয়ের চল আমাদের দেশে আবহমানকাল থেকেই। পল্লিকবি জসীম উদ্দিন অতিথি আপ্যায়নের জন্য সেই জনপ্রিয় খাবারগুলোর কথাই তার কবিতায় তুলে ধরেছিলেন।
রাজধানীতে সেসব জনপ্রিয় খাবার পাওয়া দুষ্কর। চিড়া ও মুড়ি পাওয়া গেলেও ধানের খই পাওয়া মুশকিল।
চিড়া ও মুড়ির মতো হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় না বিন্নি ধানের খই। তবে মেলার এই স্টলে রয়েছে বিন্নি ধানের খৈ, পোলাওয়ের চালের জিলাপি ও বরিশালের বালুসা মিষ্টিসহ মজার সব মিঠাই।
স্টলটিতে আরও রয়েছে, ঝাল চানাচুর, মিষ্টি চানাচুর, নারকেলের চিড়া, মুগ ডালের মুড়ালি, মনিক্কা নেমকি, ডিমের ঝিনুক পিঠা, গুড়ের বাতাসাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার।
দোকানের কমর্চারী জাহিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, বাংলার ঐতিহ্য যেন বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্যই তারা এসব খাবার বিক্রি করছেন। এখানে দামও তুলনামুলক কম রাখা হয়।
জাহিদ জানান, বিন্নি ধানের খৈ তিনশ’ টাকা, বরিশালের লাড্ডু ও বালুসা মিষ্টি তিনশ’ ২০ টাকা, পোলাও চালের জিলাপি দুইশ’ টাকা, ডিমের ঝিনুক পিঠা তিনশ’ ২০ টাকা, মনিক্কা নেমকি দুইশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তিলের নাড়ু, তিলের টফি, চিড়ার টফিও রয়েছে এখানে। এছাড়া হরেক রকম নকশি পিঠা (লিচু পিঠা, খেজুর পিঠা) বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানে হরেক রকম পিঠা আর বাংলা এসব ঐতিহ্যবাহী খাবারের বায়না দিলেন সাইমা নামে এক ক্রেতা। তিনি জানান, এসব খাবার দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু। আর সচারচর বাজারে এসব খাবার পাওয়া যায় না। তাই এখান থেকে বেশি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাঙালির বিলুপ্তপ্রায় খাবারগুলোর স্বাদ নিতে আসতে হবে বাণিজ্য মেলার ১৫২ নম্বর স্টলে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারেন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এসব খাবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫