ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পদ্মাসেতু প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৬৭ প্লট হস্তান্তর

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
পদ্মাসেতু প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৬৭ প্লট হস্তান্তর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: পদ্মাসেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের ২ হাজার ৫৯২টি প্লটের মধ্যে ৯৬৭টি প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৬২৫টি প্লট ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে শিগগিরই হস্তান্তর করা হবে।



এ প্লট হস্তান্তরে ঘন ঘন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে সেতু বিভাগ জানিয়েছে।

অপরদিকে, নদীশাসন কাজে তিনটি ড্রেজারের প্রথম চালান গত শনিবার চীন থেকে পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় এসেছে। এতে করে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো গতি পাবে বলে আশা করছে সেতু বিভাগ।
 
সম্প্রতি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) সেতু বিভাগের আওতাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
এ বিষয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণবাবদ
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে মোট ২ হাজার ৫৯২টি প্লট হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে ৯৬৭টি প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাকি এক হাজার ছয়শটি প্লট দ্রুত সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
 
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নদীশাসন কাজের তিনটি ড্রেজারের প্রথম চালান গত শনিবার চীন থেকে পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় এসেছে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে আরো গতি আসবে।
 
তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ ৩০ ভাগ শেষ হয়েছে। অপরদিকে, মাওয়া সংযোগ সড়কের কাজ ২২ ভাগ ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজে অগ্রগতি হয়েছে ১৫ ভাগ।
 
এছাড়া মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিনটি ড্রেজার, তিনটি ফ্লেটিং ক্রেন, দুটি টাগবোট এবং একটি অ্যাংকর বোট মাওয়ায় আনা হয়েছে।
 
মূল সেতুর সয়েল টেস্ট ও সার্ভে কাজ চলমান রয়েছে। ট্রেইল/টেস্ট পাইলের স্টিল ফ্যাব্রিকেশনের কাজ চীনের ন্যানটং ওয়ার্কশপের মাধ্যমে চলমান আছে বলে সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
 
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারের নিজস্ব স্থাপনা যেমন- অফিস ল্যাবরেটরি, ওয়ার্কশেড, লেবারশেড হারবারের (জেটি) নির্মাণ কাজ চলমান আছে। সেতুর সেন্ট্রাল লাইন বরাবর নেভিগেশন চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
 
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পদ্মাসেতু প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সময় এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।