ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবরোধেও হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক

হিলি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
অবরোধেও হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক ছবি: ফাইল ফটো

হিলি (দিনাজপুর): ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। এতে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।



এদিকে, অবরোধে পেঁয়াজের ঘাটতি না থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের প্রতি কেজিতে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১০ জানুয়ারি শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৪ ট্রাক পেঁয়াজ। পরদিন রোববার ১৭ ট্রাক, সোমবার ১৭ ট্রাক, মঙ্গলবার ৯ ট্রাক, বুধবার ১৩ ট্রাক, বৃহস্পতিবার ২১ ট্রাক, শনিবার ২৭ ট্রাক এবং রোববার (১৮ জানুয়ারি) ১৯ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত ষোলাপুরের পেঁয়াজ কিছুটা নিম্নমানের হওয়ায় খুচরা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৪ থেকে ২৬ টাকা দরে। আর দেশি কাঁচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রোববার হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতের নাসিক জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ট্রাকলোড বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা থেকে ২৫.৫০ টাকা দরে। আর ষোলাপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহখানেক আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত নাসিক জাতের পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছিল ২৭ টাকা থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। আর ষোলাপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৬ টাকা কেজি দরে।

তিনি আরো জানান, এক ট্রাক পেঁয়াজ হিলি থেকে ঢাকায় পাঠাতে ভাড়া লাগতো ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। অবরোধের কারণে এখন সে ভাড়া গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। আগে প্রতি কেজিতে পরিবহন খরচ পড়ত ১.৭৫ টাকা। এখন খরচ হয় ২.৫০ থেকে ৩ টাকার মতো। এরসঙ্গে ঘাটতি ও আড়তের  কমিশন মিলিয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকার উপরে খরচ পড়ে।

ব্যবসায়ীরা জানায়, হিলি থেকে ২৫ টাকা থেকে ২৫.৫০ টাকা কেজি দরে কেনা নাসিক জাতের পেঁয়াজ ঢাকায় পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে গত সপ্তাহে সেটা ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর ষোলাপুর জাতের পেঁয়াজ নিম্নমানের ও দাম কম হওয়ায় সে পেঁয়াজ ঢাকার বাজারে যায় না।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক  হারুন উর রশীদ হারুন জানান, বন্দর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১শ থেকে ১৩০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য হিলি স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরাও পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি শুরু করেছেন। এতে করে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

বন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহকারী ব্যাবস্থাপক (প্রশাসন, অপারেশন) এস এম হায়দার জানান, অবরোধের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। এছাড়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা সেগুলো ডেলিভারিও নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।