ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এমএলএম কোম্পানি মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করেছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
এমএলএম কোম্পানি মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করেছিল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বহুস্তর বিপণন (এমএলএম) কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করেছিল উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী জুনের আগে নতুন কোম্পানি আইন পাস হচ্ছে না।
 
তিনি বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

পাকিস্তানের তুলনায় আমরা সবদিক থেকে এগিয়ে। এ মুহূর্তে আমাদের কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করতে হবে। ভিশন ২০২১-কে সামনে রেখে আমাদের কোম্পানি আইন আধুনিকায়ন করতে হবে। স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবসাবান্ধব কোম্পানি আইন করা হবে।
 
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) আয়োজিত ‘কোম্পানি আইনের মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশ সহায়ক’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, না-বুঝেই পাঁচটি এমএলএম কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই এমএলএম কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করেছিল। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে (আরজেএসসি) মর্ডারাইজ করে সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে।
 
নতুন কোম্পানি আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন কোম্পানি আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া চূড়ান্ত করে কেবিনেটে তোলা হবে। এরপর তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে আইন আকারে পাস করা হবে।

তিনি বলেন, সে হিসেবে আগামী জুনের আগে নতুন কোম্পানি আইন পাস হবে না।
 
তোফায়েল বলেন, কোম্পানি আইন কীভাবে ব্যবসাবান্ধব করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। অন্য আইনের সঙ্গে যাতে কোনো ধারা যেন সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বহির্বিশ্বের কাছে এক খারাপ বার্তা গিয়েছিল। আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, ঠিক সে সময় এখন আবার খারাপ বার্তা যাচ্ছে।
 
বিইআই’র সভাপতি ফারুক সোবহানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আব্দুল মান্নান, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির প্রমুখ।

আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম।
 
ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, কোম্পানি আইন হলো, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব কার্যক্রমের মেরুদণ্ড। আর বেসরকারি খাত আমাদের মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখবে এ বিষয়টি বুঝতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে কোম্পানি আইন হওয়া উচিত স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ।
 
ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম মূলপ্রবন্ধে বলেন, কোম্পানি আইনে বাইব্যাক, বেসরকারি কোম্পানির এজিএম, বোর্ডের ক্ষমতা, পরিচালকদের দায়িত্ব, কর্মকর্তাদের জন্য স্কিম এসব বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।