ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০ পদের কাশ্মিরী আচার এখন মেলায়!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
২০ পদের কাশ্মিরী আচার এখন মেলায়! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আচার খেতে কে না ভালোবাসে। আচারের কথা শুনেইতো অনায়াসে জিভে জল আসে।

আর সেটা যদি হয় ঐতিহ্যবাহী কাশ্মিরী আচার, তাহলো তো কথাই নেই!

কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ডায়বেটিস রোগীদের অনেকেরই ছুঁতে বারণ মজাদার সব আচার। সেসব আচারপ্রেমী ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মেলায় এসেছে ২০ পদের মুখরোচক কাশ্মিরী আচার।

থরে থরে সাজানো কাশ্মিরী আচারের কোনোটা বেগুন, কোনোটা ফুলকপির, কোনোটা আবার করলার। এসব ছাড়াও কচুর লতি, দেশি কাচাঁ মরিচের আচারও রয়েছে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য।

মেলার কাশ্মিরী আচারের ১৪২ নং স্টলের ইনচার্জ হিসেবে আছেন মো. শাহিনুর ইসলাম। তিনি হরেক পদের আচারের কথা জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, মাশরুম, আলু বোখরা, বম্বে মরিচসহ প্রায় ২০ পদের আচার পাওয়া যাচ্ছে এখানে। কদবেল, আমলকি, আমড়া, টক আমসহ পাঁচমিশালী আচার মেলার ক্রেতাদের জন্য ৬শ’ টাকা কেজি। তবে করলা, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির আচার ৪শ’ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

মাশরুম, আলু বোখড়া, বম্বে মরিচ, কিচমিচের আচার ৮শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান শাহিনুর।

আচারের ম ম গন্ধে জিভে জল আসা আচারপ্রেমীদের কাছে আচার বিক্রি করতে গিয়ে স্টল কর্মীদের দম ফেলার সুযোগ নেই।

এসব মজাদার আচার মেলা ছাড়া অন্য কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে শাহীনুর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে আমাদের একটি ছোট দোকান আছে।

তারা ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ পদের কাশ্মিরী আচার তৈরি করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আরও ৫০ পদের আচার তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। নির্ভেজাল ও মানসম্মত আচার উপহার দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি জানান, তাদের আচারে কোনো ধরনের কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিব, স্যাকারিন দেওয়া হয় না। দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাদের আচার। গুণেমানে ভালো হওয়ার কারণে এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কাশ্মিরী আচার।

ভোজনপ্রিয় বাঙালির আচারপ্রীতির কথা সবার জানা। আর ঐতিহ্যের ধারক কাশ্মিরী আচার যে জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

স্টলে বউয়ের জন্য আচার কিনছেন মো. রশিদ। তিনি বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী দু’জনেই ডায়বেটিস রোগী। তাই করলার আচার কিনতে এসেছি। অবশ্য বেগুনের আচার খেতে বেশ মজা। ভাবছি ওটাও নিয়ে যাবো।

রশিদ আরো বলেন, শুধু মেলায় নয়, এমন আচারের দোকান দেশের সব জায়গায় থাকা উচিত।

কাশ্মিরী আচার তৈরির সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া না গেলেও পুরান ঢাকার বাসিন্দারা যে, এদেশে কাশ্মিরী আচারকে জনপ্রিয় করেছেন, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তারা কাশ্মিরী আচারের মূল রেসিপির সঙ্গে এদেশের প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যোগ করে এর স্বাদে ও গন্ধে এনেছেন ভিন্নতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়রি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।