ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জলবায়ু তহবিলের টাকা ব্যবহারে পুরোপুরি সক্ষম নয় বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
জলবায়ু তহবিলের টাকা ব্যবহারে পুরোপুরি সক্ষম নয় বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত / (ফাইল ফটো )

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একাধিক তহবিল পেলেও তা ব্যবহারে এখনও পুরোপুরি সক্ষম নয় বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে ‘তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ও প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতি’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।



অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে এই ফান্ড (গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড) ২ শ’ বিলিয়নে পৌঁছাবে। এর একটি অংশ বাংলাদেশও পাবে। কারণ জলবায়ুগত সমস্যায় পৃথিবীর যে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু এখানে দেখার বিষয় আমরা যেটুকু অর্থ পাবো তা খুবই নগণ্য। তহবিলের চেয়ে আমাদের জলবায়ুর ক্ষতি অনেক বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইতোমধ্যে আমরা একাধিক তহবিল পেলেও তা ব্যবহারে এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করিনি আমরা।

এ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, জিসিএফ’র নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরুউ।

কর্মশালায় জিসিএফ-এ প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়। জিসিএফ থেকে তহবিল প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহ জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থায়নে বাংলাদেশের নীতি, কৌশল এবং পরিকল্পনা, জিসিএফ’র অর্থায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়।

কর্মশালায় আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক কর্মসূচি ও প্রকল্প পাইপ-লাইনে থাকার বিষয়ে যথাযথভাবে কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

জিসিএফ’র কর্মপন্থা ও আশু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে এর নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরুউ বলেন, জিসিএফ তহবিল গঠিত হওয়ায়, আগামী বছর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহে অর্থায়ন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

ন্যাশনাল ইমপ্লিমেনটিং এনটিটি (এনআইই) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিসিএফ’র বাংলাদেশের প্রবেশের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি ২০১৫’র মধ্যে ন্যূনতম তিন থেকে চারটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে এনআইই হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে এনআইই হিসেবে গণ্য করেছে জিসিএফ। এরমধ্যে অন্যতম- বাংলাদেশ ব্যাংক, পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, কৃষি অধিদফতর, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড, বন অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলাপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।

এছাড়া, পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং টেকসই জ্বালানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) যুক্ত করা হয়। তবে জিসিএফ’র প্রাপ্ত অর্থ উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্টদের তদারকি করবে ইআরডি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫, আপডেট ১৩১৩ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।