ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেঘনার পানি পান উপযোগী করতে চুক্তি সই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫
মেঘনার পানি পান উপযোগী করতে চুক্তি সই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মেঘনা নদীর পানি পানের উপযোগী, পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চারশ ৫৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

এতে শোধনাগারের মাধ্যমে মেঘনা নদীর পানি পান করতে পারবেন ঢাকাবাসী।



বাংলাদেশ সরকার এবং ফ্রান্সের এজেন্সি ফ্রান্সিস ডি ডেভলপমেন্টের (এএফডি) মধ্যে এ ঋণ চুক্তি সই হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এই ঋণ চুক্তি সই হয়।

পরবর্তীতে পদ্মানদীর পানিও পানের উপযোগী করে পানের ব্যবস্থা করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে ওয়াসা।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজুউল্লাহ এবং ফরাসি সরকারের (এএফডি) পক্ষে দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক অঁদে ফ্লোগনিই (aude flogny) চুক্তিতে সই করেন।

অঁদে ফ্লোগনিই বলেন, জনবহুল ঢাকা মহানগরীতে পানির চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নগরবাসীকে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দিতেই এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। মেঘনা নদীতে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নগরীতে পানি নিয়ে আসা হবে। পরে পদ্মাসহ অন্যান্য নদীর পানিও খাওয়ার উপযোগী করা হবে। মোট তিনটা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে পানি শোধনাগারে নিয়ে আসার জন্য ও নিরাপদ পানি সরবরাহে পাইপ লাইন স্থাপন করা হবে।

ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট (ডিইএসডব্লিউএসপি) প্রকল্পের অধীনে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

তবে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছয়শ ৭৪ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)  দুইশ ৫০ মিলিয়ন এবং ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে।

এ প্রকল্পের অধীনে এএফডি’র ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪শ ৫৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা) ঋণ চুক্তি শেষ হলো।

এ প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাকি অর্থ সরকারি খাত থেকে দেওয়া হবে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, পরবর্তীতে পদ্মাতেও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে নগরীতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি লিটার পানি নিয়ে আসা হবে। আশা করছি, দ্রুত এই প্রকল্পটি শেষ হবে।

তিনি আরো বলেন, পানি দিন দিন ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে চলে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে আমরা ভূপৃষ্ঠের ওপরের পানি পান উপযোগী করতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি।

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ঋণ দেওয়ায় ফরাসি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

ঋণ চুক্তি সই করার সময় উপস্থিত ছিলেন- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।