ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতা-দর্শনার্থীতে টইটম্বুর গৃহ সামগ্রী স্টল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
ক্রেতা-দর্শনার্থীতে টইটম্বুর গৃহ সামগ্রী স্টল ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বর্ধিত দশদিনের সপ্তমদিন শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল ক্রেতা-দর্শন‍ার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ মুহূর্তের মেলায় চলছে ছাড় আর ফ্রি-পণ্যের নানা অফার।

ক্রেতা-দর্শনার্থীরাও তা লুফে নিচ্ছেন।

মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। বিশেষ করে গৃহস্থলীর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্টলে তাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
 
শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় ভিড় বাড়তে থাকে। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে যেন টইটুম্বুর হয়ে পড়ে মেলা প্রাঙ্গণ।

বেড়ে যায় প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে দায়িত্বরত বিক্রয় প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের কর্মচাঞ্চল্য। দম ফেলারও যেন ফুরসত নেই তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায় গৃহস্থলীর প্রয়োজনীয় পণ্য, শিশু খেলনা ও বিস্কুটের স্টলগুলোতে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের গৃহ এবং রান্নার সামগ্রী পণ্যও কিনছেন তারা।  

ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও পোশাকের স্টললোতেও চোখে পড়ার মতো ক্রেতা-দর্শনার্থী দেখা গেছে। তবে দেশীয় স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোর মতো এতটা  জমজমাট দেখা যায়নি বিদেশি প্যভিলিয়নগুলো।
 
মেলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে স-পরিবারে এসেছেন গৃহিণী আমেনা বেগম। বললেন, বাচ্চারা প্রথম থেকেই মেলায় আসার আবদার করছিল। তাদের আবদার পূরণ করতে এবং বাসার জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনতে আজ চলে এলাম।

স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জানিয়ে আমেনা বলেন, ছেলে-মেয়ের বাবা বেতন পেয়েছেন তিন তারিখে। এরপরই সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছি। শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে। তাই কাপড়-চোপড়, খেলনা কিনেছি।

‘বাসার জন্য একটি রাইস কুকার, মাক্রোওভেন ও একটি ব্লেন্ডারও কেনা হয়েছে’-যোগ করেন তিনি।  
 
মিরপুর থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত তিনদিন এসেছি মেলায়। বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা আর প্লাস্টিকের কিছু সামগ্রী,রাইস কুকার ও ফ্রাই পেন কিনেছি।
 
এদিকে টানা দুই দিনের (শুক্রবার ও শনিবার) বিক্রিতে বেশ খুশি স্টলের মালিকরাও। তবে বরাবরের মতো বিক্রির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথাই শোনা গেল অনেক বিক্রেতার মুখে।
 
মেলা প্রাঙ্গণে বেঙ্গল প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ হেলমি হাসান রাজু বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিকে বিক্রি ভালো ছিলো না। তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলায় বেঙ্গলের সব পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

‘এরপর থেকে ভিড় অনেক বেড়ে গেছে। গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) ও আজ ক্রেতাদের ভিড় যেমন বেশি, বিক্রিও খুব ভালো’—বলেন তিনি।

হরতাল-অবরোধে মেলায় বেশ প্রভাব পড়েছে জানিয়ে কিয়াম প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে এবার পণ্য বিক্রয়ের পরিস্থিতি খুব ভালো না। শেষ সময়ে বিক্রি কিছুটা বাড়লেও তা অন্যবারের তুলনায় কম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।