ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কক্সবাজারে টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট উদ্বোধন এপ্রিলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
কক্সবাজারে টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট উদ্বোধন এপ্রিলে ছবি: নাজমুল হাসান/ বাংলানিউজটোয়েন্টফোর.কম

ঢাকা: কক্সবাজারে তৈরি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ পাঁচ তারকা মানের বিচ রিসোর্ট। নিমার্ণ কাজ শেষের পথে থাকা ‘রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট’ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে আনু্ষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।


 
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় রিসোর্টকর্তৃপক্ষ।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কক্সবাজারের ইনানীতে প্রায় ১৪ একর জমির উপর নির্মাণ হচ্ছে রিসোর্টটি। যাতে রয়েছে ৪৯৩টি বিভিন্ন সাইজের রুম, সুইটস, সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট, রেস্টুরেন্ট, আন্তর্জাতিক মানের বার, কফিশপ, জিমনেশিয়াম, ২ টা বৃহৎ সুইমিং পুল, ট্রাডিশনাল থাই স্পাসহ নানান ধরনের খেলাধুলা থ্রিডি সিনেমা ও কক্সবাজারের একমাত্র ওয়াটার পার্ক।
 
রিসোর্টটিতে আর্থিক বিনিয়োগ করেছে বেসরকারিখাতের প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া প্রাইম ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আরও ৯টি ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে। রিসোর্টটি করতে এরইমধ্যে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল বিচ রিসোর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এইচ এম মকবুল হোসেন(অব:), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল হক শামীম, গোল্ডেন টিউলিপ সাউথ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিমাল সিং প্রমুখ।
 
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল হক শামীম বলেন, টুরিজমে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০০৮ সালের হিসাব অনুযায়ী টুরিজম খাত থেকে বাংলাদেশের আয় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। যেখানে পাকিস্তানের ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার, নেপালের ৩৬৩ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার ৮০৩ মিলিয়ন ডলার।
 
তিনি আরও বলেন, সার্কভূক্ত দেশগুলোর তুলনায় টুরিজম খাতের আয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও দেশের জন্য এটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতের উন্নতি করতে পারলে তা দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জন্য যাতায়ত ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
 
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের রিসোর্টটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে চাই। আমাদের চেষ্টা থাকবে এপ্রিলের মধ্যেই করার। আর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রিসোর্টটি করতে এ পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
 
সিইও মকবুল হোসেন বলেন, রিসোর্টটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর। যার কাজ বর্তমানে শেষের পথে। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘ভ্যাকেশন এক্সচেঞ্জ’ কোম্পানি ‘ইন্টারভেল ইন্টারন্যাশনাল’র সঙ্গে এফিলিয়েটেড।
 
গোল্ডেন টিউলিপ সাউথ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিমাল সিং বলেন, গোল্ডেন টিউলিপ সাউথ এশিয়া ইন্ডিয়ার সবচাইতে অগ্রগামী হোটেল চেইন। এটি শিগগির সাউথ এশিয়ার প্রায় ৫০টি হোটেল অপারেট করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।