ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবরোধ-হরতালে

চামড়াশিল্পে ক্ষতি ১ হাজার কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
চামড়াশিল্পে ক্ষতি ১ হাজার কোটি টাকা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা চলমান অবরোধ ও হরতালের কারণে চামড়াশিল্পে এ পর্যন্ত  প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন- বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম আবু তাহের।



সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ক্রমাগত অবরোধ ও হরতালের কারণে চামড়াশিল্প খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা। এ ভাবে চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
 
হাজারীবাগ থেকে ‘চামড়াশিল্প নগরী সাভার, ঢাকার কারখানা স্থানান্তর কার্যক্রম বাস্তবায়নে এবং দেশে চলমান পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী চামড়াশিল্প রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএফএলএলএফইএ।
 
লিখিত বক্তব্যে বিএফএলএলএফইএ’র চেয়ারম্যান এম আবু তাহের জানান, পণ্য পরিবহনে বাধা ও অগ্নিসংযোগের কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ কাঁচা চামড়া শিল্পনগরীতে (ট্যানারি) আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়া নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, ট্যানারিতে কাঁচামালের সংকট দেখা দিচ্ছে এবং ব্যাপক হারে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চামড়াশিল্পে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হরতালের কারণে ‍হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থানান্তরের কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে শিল্পোদ্যোক্তাদের নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি এবং নতুন ড্রাম ও যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে দুই হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে সরকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আড়াইশ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু, ওই টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তা স্বচ্ছ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে রফতানি মূল্যের ওপর প্রণোদনা বৃদ্ধি, সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ, সুদ মওকুফ ও সার্কুলার বাস্তবায়ন করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তাগিদসহ আরো কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।
 
বক্তারা বলেন, বিদেশি ক্রেতারা আমাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলারের পণ্যের অর্ডার ফেরত নেওয়া হয়েছে। এ খাতে প্রায় এক লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন। এ শিল্পের খারাপ অবস্থার কারণে তাদের কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে পড়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এম এ রশীদ ভূঁইয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ মাহিন, কোষাধ্যক্ষ নুরুল আলম,  কার্য নির্বাহী সদস্য এম এ মাজেদ, শহিদুল্লাহ এবং জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া খোকন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।