ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হরতাল-অবরোধের প্রভাব

সোনামসজিদ বন্দরে রাজস্ব আয় কমে গেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫
সোনামসজিদ বন্দরে রাজস্ব আয় কমে গেছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: দফায় দফায় হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শিবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে প্রতিদিনই এ বন্দর থেকে সরকার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।



সোনামসজিদ স্থলবন্দরে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। জানুয়ারি মাসে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। তখন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

কিন্তু জানুয়ারি মাসের ৫-১৮ তারিখ পর্যন্ত ২০দলের ডাকা অবরোধের কারণে বন্দরে আমদানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

১৯ জানুয়ারি থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্দরের কার্যক্রম চালু হলেও যে সমস্ত পণ্য আমদানি হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশেরই রাজস্ব নেই বললেই চলে।

১৯ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার একশ’ পণ্যভর্তি ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে পানামার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান।

সোনামসজিদে দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার নুরুল বাশির বাংলানিউজকে জানান, তারপরেও গত ১২দিনে মাত্র ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

অপরদিকে ২০১৪-২০১৫ আর্থিক বছরে এ বন্দরে রাজস্ব আয় ১’শ ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হয়েছে।

একই সময়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল একশ ৭৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম।

জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে এ স্থলবন্দরে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার নুরুল বাশির বাংলানিউজেক আরো জানান, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম কয়েক মাসে এ স্থলবন্দর দিয়ে ফলসহ যে সমস্ত আমদানিকরা পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হয়, সেগুলো আমদানি হয়নি। সে কারণেই গত কয়েক মাস ধরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

তিনি আরও জানান, ফল ও টমেটোসহ যে সমস্ত পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হয়, সে সব পণ্য আমদানি হওয়ায় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে রাজস্ব আয় কিছু বাড়ে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু জানুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখ থেকে লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

১৯ জানুয়ারি কার্যক্রম চালু হলেও ফল, টমেটোসহ যে সমস্ত পণ্য থেকে রাজস্ব আয় হতো সেগুলো আসছে না।

অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সদস্য সচিব সোহেল আহমেদ পলাশ বাংলানিউজকে জানান, বিগত মাসগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্দরের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারণে এ বন্দর দিয়ে সব ধরনে ফল আমদানি কমে গেছে।

তারা বলেন, বিগত মাসগুলিতে ছাই, পাথর, ভুষি ও গম ছাড়া কোনো পণ্য এ বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতো না।

তারা আরো বলেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে ফল ও টমেটো আমদানি হওয়ায় রাজস্ব আয় বাড়ে, কিন্তু আবারও জানুয়ারিতে অবরোধ হওয়ায় ফল আমদানি না হওয়ায় রাজস্ব আয় হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।