ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হরতাল-অবরোধে ক্ষতি ১ লাখ ২০ হাজার কোটি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
হরতাল-অবরোধে ক্ষতি ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থেই বিএনপি নেত্রী এ হরতাল দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


 
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসাকালে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ৫২ দিন ধরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। পেটের তাগিদে কাজে বের হয়ে এ পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই আগুনে পুড়ে মারা যায়।

তিনি বলেন, পেট্রোল বোমাসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।   এক হাজার ১৭৩টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ছয়টি লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ২৫ দফায় ট্রেনে নাশকতা করা হয়েছে। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও অন্যান্যভাবে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জানে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। তারপরও কেন এই নাশকতা।

বিএনপি-জামায়াতকে পরস্পরের দোসর অভিহিত করে সংসদ নেতা বলেন, তাদের নাশকতার একটাই উদ্দেশ্য- যুদ্ধাপরাধীদের এবং খালেদা জিয়াকে তাদের অপরাধের মামলা থেকে রক্ষা করা।
 
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের আমৃত্যু কারাবাস, এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জতিক রীতিনীতি সম্পূর্ণ অনুসরণ করে এ বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকিদের রায় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্যকর হবে। এছাড়া, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্রের (তারেক রহমান) দুর্নীতির নয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলা থেকে নিজেকে ও পুত্রকে বাঁচাতেই তার আন্দোলন।   তার আন্দোলনে কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই।

জনসম্পৃক্ততা ছাড়া এ কার্যক্রমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জামায়াত-শিবিরের কর্মী, বিএনপির বিপথগামী কিছু লোক এবং সন্ত্রাসীদের দিয়ে এ নাশকতা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী সম্প্রতি আন্দোলনে ৭ দফা দাবি দিয়েছেন। এর মধ্যে জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য কোনো দাবি নেই, সব দাবি ব্যক্তি স্বার্থের দাবি। আর এ কারণেই জনগণ তার সঙ্গে নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ৫২ দিন ধরে অবরোধ পালন করছে। প্রায় সকল কার্যদিবসে হরতাল দিয়েছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে দেশব্যাপী যানবাহন চলছে, ঢাকা শহরে হরতাল-অবরোধেও যানজট হচ্ছে, শুধুমাত্র দূরপাল্লার যানবাহন কম চলছে।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, অর্থায়নকারী বা পরিকল্পনাকারীদের কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ গ্রেফতার করছে। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার উপযোগী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫/আপডেট ২১২২ ঘণ্টা

** অস্থির চিত্তের মান্না ৬ বার দল বদলেছেন
** সহিংসতা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত করবে

** শোক প্রস্তাব যাবে পেট্রোল বোমায় নিহতদের ঠিকানায়
** নীতিকথা শেখাবেন না, ড. কামালকে শামীম ওসমান
** রেলওয়ের আবাসিক ভবন অবৈধ দখলে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।