ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাকিস্তানেই শুরু, পাকিস্তানেই শেষ

ঊর্মি মাহবুব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৫
পাকিস্তানেই শুরু, পাকিস্তানেই শেষ ছবি: দিপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকাঃ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে চলছে ডেনিমস অ্যান্ড জিন্স শো। প্রবেশ করেই দেখা মিললো এক নম্বর স্টল।

নাম ‘ডেমিন ইন্টারন্যাশনাল’। পাকিস্তানি কোম্পানি। মেলার শেষ প্রান্ত, স্টল নম্বর ২৭ ও ২৮। নাম ‘শ্রুতি’। এটিও পাকিস্তানি কোম্পানি।

এটি কোনো পাকিস্তানি জিন্স শো নয়, বা মেলাটি  পাকিস্তানের কোনো শহরে হচ্ছে, তাও নয়। বাংলাদেশের রেডিসন হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে ডেনিমস অ্যান্ড জিন্স শো। এই শোতে প্রায় অর্ধেক স্টল পাকিস্তানি কোম্পানিগুলোর দখলে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থতিতে পাকিস্তানি কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশি মেলায় এমন একছত্র প্রভাবে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও।

মেলায় বাংলাদেশি এক স্টলের প্রতিনিধি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশের ডেনিমস ও জিন্স এর প্রভাব রয়েছে এখন পুরো বিশ্বে। তাই বাংলাদেশে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন। আর সেই সুযোগে আগে থেকেই পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে ১১টি স্টল বরাদ্দ নিয়ে নিয়েছে। বাইরের থেকে ক্রেতারা এসে পাকিস্তানি পণ্য দেখে তাদের অর্ডার দিয়ে যাবে এটা সত্যি দুঃখজনক।

মেলায় অংশ নেয়া বাংলাদেশি স্টলের প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কিছু জানেনই না।

এ বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায় জার্মানিতে জিন্স রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান যারা গ্রুপের পরিচালক মেহেদী হাসান রানার বক্তব্যে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এ ধরনের যে কোনো মেলা হচ্ছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কিন্তু বাংলাদেশে মেলায় ২৮ টি স্টলের মধ্যে ১১ টি পাকিস্তানি আর বাংলাদেশি স্টল মাত্র পাচটি এটা মেনে নেয়া যায় না। এখন কেউ যদি বলে বাংলাদেশিরা স্টল নেয়নি এটা হতেই পারে না। বাংলাদেশে জিন্সের উদ্যোক্তা ও জিন্স রফতানির পরিমাণ এখনো পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি। সেখানে পাকিস্তানের স্টল নেয়ার ক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশিরা আগ্রহ দেখায়নি এটা হতে পারে  না।

বাংলাদেশি মেলায় পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের আধিপত্যকে হুমকি স্বরূপ দেখছেন এই উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব ছিলো এলিয়েন্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রুবাইয়াত এহসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সাথেই যোগাযোগ করেছি। যারা স্টল নিতে এসেছে কমিটি তাদের দিয়েছে। এখন এখানকার কোম্পানিগুলোর যদি আগ্রহ না থাকে তাহলে কি করার আছে।

মেলার মোট ২৮টি স্টলে সাতটি দেশের মোট ২৬টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। তবে ২৮টি স্টলের মধ্যে পাকিস্তানি নয়টি কোম্পানি দখল করে নিয়েছে ১১টি স্টল। বাংলাদেশি হামিম গ্রুপ, এনভয়সহ মোট পাঁচটি কোম্পানির স্টল আছে এই মেলায়। তাছাড়া ভারতের রয়েছে পাচটি কোম্পানি, চায়নার তিনটি, তুরুস্কের দুটি এবং জার্মানি ও ব্রাজিলের একটি করে স্টল রয়েছে।  

** শ্রমিক ইস্যুতে ছাড় নয়: জার্মান রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।